প্রতি দিন ট্রাম্পকে পুজো করেন কৃষ্ণ, তাঁর উদ্দেশ্য শুনলে কূটনীতিকরাও হার মানবেন
নিজেকে ক্ষমতাশালী ভাবেন বটে, কিন্তু ভগবানের পাশে স্থান হবে তাঁর, এটা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ট্রাম্পকে যিনি ভগবানের স্থানে বসিয়েছেন, তিনি হলেন বছর একত্রিশের তেলেঙ্গানার জানগাঁও জেলার কৃষক বুসা কৃষ্ণ।
প্রতি দিন নিষ্ঠাভরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুজো করেন কৃষ্ণ। হিন্দুদের তেত্রিশ কোটি দেবতা, বলিউড-ক্রিকেটের তারকা, এমনকী এ দেশের জনপ্রিয় নেতাদের ছেড়ে হঠাত্ ট্রাম্পের পুজো করতে গেলেন কেন তিনি? যে ট্রাম্পকে দাম্ভিক, একগুঁয়ে ‘স্বৈরাচারী’ বলেও কটাক্ষ করেন কেউ কেউ; যে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি-হুঙ্কার দিয়ে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হন সব সময়, তাকে কি না ভগবানের আসনে! এটা দেখে কৃষ্ণকেও তামাসা করতে ছাড়েন না প্রতিবেশীরা।
তবে তাতে কর্ণপাত করেন না কৃষ্ণ। কিন্তু ট্রাম্পকে পুজো করার পিছনে তাঁর সত্ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে জানান তিনি। তেলেঙ্গানার এই কৃষকের বক্তব্য, গত বছর অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন নৌ অফিসারের গুলিতে নিহত হন তারই রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ার ছাত্র শ্রীনিবাস কুচিভোটলা। তিনি জানতেন ট্রাম্পের দেশেই খুন হয়েছিল শ্রীনিবাস। এই ঘটনায় ভীষণ মুষড়ে পড়েছিলেন কৃষ্ণ।
কৃষ্ণের কথায়, “সে দিন অনুভব করি প্রবাসী ভারতীয়দের ভাল কিছু করতে গেলে ট্রাম্প এবং তাঁর লোকেদেরই শরণাপন্ন হতে হবে।” কৃষ্ণ আরও বলেন, “ভগবানের শক্তির মতো ক্ষমতা না থাকলেও ভালবাসা এবং পুজো করে তাঁর মন জয় করা যায়। তেমনই ট্রাম্পকেও খুশি রাখতে আমি এই কাজ করি।”
দিনরাত যেমন ট্রাম্পের আরাধনায় থাকেন কৃষ্ণ, পাশাপাশি সোশ্যাল মাধ্যমেও সেই বার্তা পৌঁছিয়ে দেন তিনি। প্রতি দিনই ট্রাম্পের ছবিতে মালা চড়িয়ে, ফুল-চন্দন দিয়ে কোনও কোনও ছবি পোস্ট করেন তিনি।
কৃষ্ণ জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে যে ভারতীয়রা ভালবাসেন, এই বার্তা তাঁর কাছে পৌঁছে দিতে চাই। তবে, ‘ভগবান’ কি ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়েছেন! ভক্ত ভালভাবেই জানেন টুইটারে ট্রাম্পের কতটা জনপ্রিয়তা। প্রতি দিন কোনও না কোনও টুইটে বোমা ফাটান ট্রাম্প। কৃষ্ণও সেই কৌশল কাজে লাগিয়ে টুইটারের মাধ্যমে তাঁর বার্তা পৌঁছিয়ে দিয়েছিলেন।
ব্যস, তাতে কেল্লাফতে! ‘ভগবান’ সাড়া দেন। টুইটে ট্রাম্প জানান, “আমার ভীষণ ভক্ত কৃষ্ণ। কোটি কোটি ভারতীয়র মতো সে আমার ভীষণ প্রিয়। আমার ছবিকে সে পুজো করে শুনে খুশি হলাম। যদি সে একটি ছবি পাঠায় ভীষণ আনন্দিত হবো।”
তবে, ভক্তও অকপটে স্বীকারও করেছেন, ট্রাম্প সম্পর্কে সে বেশি কিছু জানে না। তিনি বলেন, “এক বার ডব্লিউডব্লিউই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের ক্ষমতা দেখে প্রেমে পড়ে যাই আমি।”