Ghatal: নদীবাঁধ ছাপিয়ে ঢুকছে জল, ফের উদ্বেগ বাড়ছে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা-দাসপুরে
নিম্নচাপের জেরে কয়েকদিন ধরেই নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। মেদিনীপুরের শিলাবতী, কেঠিয়া, ঝুমি-সহ সব নদীর জলস্তর বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। নদীপাড় ছাপিয়ে ইতিমধ্যেই গ্রামগঞ্জে ঢুকতে শুরু করেছে জল। এক টানা বৃষ্টির ফলে মাটি নরম হয়ে ইতিমধ্যেই চন্দ্রকোনা ও ঘাটাল এলাকায় বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
সামনেই পুজো। জল ঢুকেছে নির্মীয়মান প্যান্ডেলেও। বন্ধ হয়ে গেছে বহু মন্ডপের কাজ। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পুজো উদ্যোগতারা।
চন্দ্রকোনার বসনছোড়া গ্রামপঞ্চায়েত, ভগবন্তপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত,মনোহরপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত,মানিককুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ ২ ব্লকের ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। এইসব এলাকায় শিলাবতী নদীর বাঁধ নতুন করে ভাঙতে পারে বলে দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছে এলাকার মানুষজন।
নদী বাঁধ যাতে না ভাঙে সেই জন্য গ্রামের মানুষ বাঁধে মাটি দিয়ে উঁচু করতে তৎপর এমনই ছবি উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে জলের তলায় যাতায়াতের একাধিক গ্রামীণ সড়ক। ফলে শুরু হয়েছে যাতায়াতের ভোগান্তিও।
দীর্ঘদিন ধরে জলমগ্ন ছিল ঘাটাল ব্লক ও ঘাটাল পৌর এলাকা সহ দাসপুরের বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত। আবার নতুন করে যে এই সমস্ত এলাকাগুলি প্লাবিত হবে তা নিশ্চিত এলাকার মানুষজন। এক কথায় সামনে পুজো আর পুজোর আগে যে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি এলাকাবাসীর পিছু ছাড়বে না একপ্রকার নিশ্চিত ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দারা।-
-ফাইল ছবি
ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস ইতিমধ্যে ঘাটালের ভেঙে যাওয়া বাড়িগুলি পরিদর্শনে বেরিয়েছেন। এমনকি সব ধরণের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন পরিবারগুলিকে। বুধবার তিনি জানান,সমস্ত দিকে নজর রাখছে ব্লকের বিডিও থেকে শুরু করে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সমস্ত পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন তারা। ইতিমধ্যে অনেক বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এলাকার স্কুলগুলিতে। -ফাইল ছবি