Bizarre Discovery: মঠের মাটির নীচে ৭৩ দেহ, সঙ্গে ৬০০ কুমির! এ কী বীভৎস তন্ত্র...
অদ্ভুতুড়ে বৌদ্ধ মঠ। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উপাসনাগৃহে লুকিয়ে রাখা একের পর এক মৃতদেহ। এক-আধটা নয় একসঙ্গে ৭৩টি মৃতদেহ। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় সংবাদমাধ্যম ও সমাজমাধ্যম।
একসঙ্গে এতগুলি মৃতদেহ উদ্ধারের নেপথ্যে কারণ কী? শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। 'সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এই মৃতদেহগুলি ভিক্ষুদের স্পিরিচুয়াল প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত।
এ ছাড়াও মঠের ভিতর একাধিক কুমির উদ্ধার হয়েছে। সংখ্যা প্রায় ৬০০টিরও বেশি। যা দেখে চমকে উঠেছেন অনেকেই।
মন্দিরের ভিতরে এত কুমির কেন পোষা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের মতে দর্শনার্থীদের মঠে এলে এই কুমিরগুলিকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে দেখার অনুমতি পেতেন তাঁরা।
১৬০০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই মঠটিতে মূলত আধ্যাত্মিকতার চর্চা চলত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মঠের অনুসারী ভক্তেরা প্রচুর জমি দান করার ফলে মঠের সম্পত্তির পরিমাণ ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে।
২২ নভেম্বর ৪১টি এবং ২৬ নভেম্বর ৩২টি মোট ৭৩টি মৃতদেহ উদ্ধার। ভিক্ষুদের দাবি, এই মৃতদেহগুলি মঠের ভিক্ষুদের পরিবারের লোকেদের। মৃতদেহের প্রমাণ হিসেবে তাঁরা ডেথ সার্টিফিকেটও দেখান পুলিসকে। থাই পুলিস দুটি মঠের কার্যকলাপ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।