মন ভালো রাখে সুন্দর বারান্দা, হয়ে উঠুক বাড়ির সবচেয়ে পছন্দের জায়গা
নিজস্ব প্রতিবেদন: শহুরে জীবনে বাসায় সবচেয়ে স্বস্তির জায়গাটি হল বারান্দা। যেখানে সময় কাটালে মন ভালো থাকবে বলছে সমীক্ষা। কিন্তু সব বারান্দায় নয়। অনেকেই কাপড়চোপড় ও অপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে এলোমেলো করে রাখে বারান্দা। ঘর পরিষ্কার রাখতে বাড়ির যাবতীয় অপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে ভরিয়ে রাখে বারান্দা। সেসব বারান্দা অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য একেবারে ভালো নয়।
যদি পরিষ্কার ও কিছু শৈল্পিক ছোঁয়া দেওয়া যায় তবে কাঠামোগত পরিবর্তন না করেই বারান্দার চেহারাটিকে পছন্দের রূপ দেওয়া সম্ভব। বাড়ির বারান্দা ছোট বা বড় যাইহোক এর মধ্যেই তা মনোরম, পরিপাটি ও স্বস্তিদায়ক করে তুলতে পারেন। বারান্দায় যদি সূর্যের আলো আসে, পাখির কলরব শোনা যায় এবং আকাশের নীল দেখা যায় তাহলেই যথেষ্ট।
কী ভাবে বারান্দা সাজাবেন? প্রথমে বারান্দা পরিস্কার করুন। কোনও একটি দেওয়াল বেছে নিন। সেই দেওয়ালে রঙিন পছন্দসই ওয়াল স্টিকার লাগান।
বা সেই দেওয়ালে ঝুলিয়ে একাধিক গাছ রাখুন। বারান্দায় প্রকৃতির ছোঁয়া থাকলে সবচেয়ে ভালো। অনেকেই প্লাস্টিকের কৃত্রিম গাছ রাখেন কিন্তু এক্ষেত্রে তাজা গাছ হচ্ছে সবচেয়ে ভালো পছন্দ। সবুজ পাতা ভরা বা লতানো ফুল বা সবজির গাছ ব্যালকনিতে থাকার চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর হতে পারে না। মাঠি ভরা টবে বীজ থেকে নিজেই চারাগাছ করতে পারেন অথবা নার্সারি থেকে সরাসরি ফুল, ফলের চারাগাছ কিনে এনে রাখতে পারেন বারান্দায়। বারান্দায় কিছুটা গোপনীয়তা আনার পাশাপাশি ঘরের নৈসর্গিক শোভাও বাড়বে এতে।
মাটিতে নকল ঘাস লাগান। কোণা থেকে কোণা। এর উপর মাটিতে রাখুন রঙিন টব। সমুদ্র থেকে তুলে আনা ঝিনুক বা বালির মধ্যে থাকা পাথর জোগাড় করে রাখুন। প্রয়োজনে তা রঙ করে টবের পাশ দিয়ে রেখে দিন।
সিরামিক বা মোজাইক বা মাটির কিছু ছোট-বড় আকারের টব রাখুন। এর পাশে রানিং কারপেট পেতে রাখুন। যার উপর রঙিন ফ্লোর কুশন রাখুন। ছোট্ট মোড়া বা নেস্ট টেবিল রাখতে পারেন।
দেওয়ালে রঙ করে বা ছবি এঁকে তার উপর ফটো, আয়না রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, ঘরে যা সাজাবেন তা কেন রাখবেন সেই লাভ দেখে সাজাবেন না। একটু অফ বিট করে সাজালেই ভালো দেখাবে।
মনে রাখবেন খরচ করে সাজালেই যে খুব সুন্দর হবে এমনটা নয়।