বছরের ৩০০ দিন ঘুমিয়েই কাটান রাজস্থানের `কুম্ভকর্ণ`! সাধ করে নয়, রোগে

Soumitra Sen Sun, 18 Jul 2021-7:07 pm,

 না, ইনি ব্রহ্মাকে কোনও বর-টর চাইতে যাননি। দেব-আশীর্বাদ ছাড়াই তিনি অর্জন  করতে পেরেছেন 'কুম্ভকর্ণ' উপাধি। বাস্তবিকই ঘুম-বিষয়ে কুম্ভকর্ণের চেয়ে কিঞ্চিত্‍ বেশিই গুণী তিনি। কুম্ভকর্ণ ঘুমোতেন বছরে ১৮০ দিন। আর এই কলির 'কুম্ভকর্ণ' ঘুমোন ৩০০ দিন!

ডাক্তারেরা বলে থাকেন,  একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের সাধারণত দিনে ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট। ঘুম কারও ক্ষেত্রে আর একটু বেশি হলে তা হয়তো গিয়ে দাঁড়াবে ১০-১২ ঘণ্টায়, নিদেন পক্ষে ১৪-১৫ ঘণ্টায়! কিন্তু একটানা ২৫ দিন? না, তা-ও কি সম্ভব?

সম্ভব বইকী! রাজস্থানের বাসিন্দা ৪২ বছরের পুরখারাম ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩০০ দিনই ঘুমিয়েই কাটান। আর তাই 'কুম্ভকর্ণ' হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। 

 

পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, রাবণ ও কুম্ভকর্ণ তপস্যায় ব্রহ্মাকে তুষ্ট করেছিলেন। রাবণ কাঙ্ক্ষিত বর পেয়েছিলেন। কুম্ভকর্ণের যখন ব্রহ্মার কাছে বর চাওয়ার পালা আসে, ইন্দ্রের অনুরোধে দেবী সরস্বতী তখন তাঁর জিহ্বা আড়ষ্ট করে দেন। তাই কুম্ভকর্ণ নাকি 'ইন্দ্রাসন' চাইতে গিয়ে 'নিদ্রাসন' চেয়ে বসেছিলে! তাঁর ইচ্ছে পূরণ করেছিলেন ব্রহ্মা। ফলে বছরের ছ'মাসই ঘুমিয়ে থাকতেন রামায়ণের কুম্ভকর্ণ।

 আমাদের গল্পের 'কুম্ভকর্ণ' পুরখারাম অবশ্য শখ করে ঘুনিয়ে এই উপাধি অর্জন করেন এমন নয়। তিনি অ্যাক্সিস হাইপারসোমনিয়া (Axis hypersomnia) নামের একটি বিরল রোগে ভুগছেন। এই রোগে আক্রান্ত মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ঘুমোতে থাকেন। ২৩ বছর আগে এই সমস্যা শুরু হয়েছিল তাঁর। এখন একটানা ২৫ দিন ঘুমিয়ে থাকেন পুরখারাম। 

রোজগারের জন্য একটি মুদির দোকান খুলেছিলেন। ঘুমের ব্যামোর কারণে সেটিও বছরের বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। এমনও হয়েছে, দোকানে বসে থাকতে থাকতেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। সে ঘুম ভাঙাতে পারেননি কেউই।

কীভাবে চলে রাজস্থানের কুম্ভকর্ণের? তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয়স্বজন তো খেয়াল রাখেনই। এমনকি পাড়ার লোকজনও তাঁর খেয়াল রাখেন। পুরখারাম ঘুমিয়ে থাকলে সেই অবস্থাতেই তাঁকে স্নান করানো বা খাওয়ানো  হয়।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link