ডিসেম্বর মাসটা TMC-র জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, চায়ে পে চর্চায় বেরিয়ে মন্তব্য দিলীপের
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাঁথি হলদিয়া ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি সভা ডাকা হয়েছে এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, আমি কাল যেটা বলেছি TMC-র ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট শুরু হয়েছে। এখন ওরা ভাঙ্গন ঠেকাতে ব্যস্ত। যে নেতারা কোনও দিনও বাইরে বেরোন না তাঁরা বেরোতে আরম্ভ করেছেন। ডিসেম্বর মাসটা টিএমসির জন্য খুবই চাপের। বছরের শেষটা মোটেও ভালও যাচ্ছে না টিএমসির।
জঙ্গলমহলের পর মুখ্যমন্ত্রীর ৭ ডিসেম্বরের মেদিনীপুরের সভাকে নিয়ে কটাক্ষ করে দিলীপের মন্তব্য, "জঙ্গলমহলের মানুষ ভরসা করেছিল, জঙ্গলমহলের সঙ্গে যেভাবে প্রতারণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানুষ তার জবাব দিয়ে দিয়েছে। তারা মুখ ঘুড়িয়ে নিয়েছে। উনি যদি জঙ্গলমহলে পড়েও থাকেন কোনও লাভ হবে না। শেষ চেষ্টা করে দেখেছেন।"
জেপি নাড্ডা আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সভা প্রসঙ্গে বলেন, "আমরা নিয়মিত তো সভা করছি। ওনারা সবে নেমেছেন। কারণ TMC-র ভাষণ শুনতে লোক আসে না বিভিন্ন জায়গা থেকে দূর দূর থেকে লোক নিয়ে আসতে হয়। তাই একবার পরীক্ষা করে নিচ্ছেন কী পরিস্থিতি। এখন ঘর সামলান আগে তারপর সভা করবেন।" গতকাল অনুকূল ঠাকুরের পুত্রের সঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সাক্ষাৎ নিয়ে দিলীপের মন্তব্য, "যত ধার্মিক সংগঠন আছে তাঁদের সমস্যা শোনা, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কাজটা আমাদের পার্টি সব সময় করে থাকে।" গতকাল মালদহের নেতৃত্বের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে কয়েকজন নেতৃত্বের অনুপস্থিতি নিয়ে বলেন, ওনারা একটু দেখে নিচ্ছেন কে আছেন, কে নেই। ডিসেম্বর মাসে জল আর দুধ আলাদা হয়ে যাবে।
বেশ কয়েকদিন আগেই বাংলাকে গুজরাট বানানোর কথা বলেছিলেন দিলীপ, তবে মমতা তার পাল্টা মন্তব্যে বলেছিলেন, বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেবেন না তিনি। আজ এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আগে তো ঠিকবেন তারপরে আটকাবেন। টিএমসি পার্টিই থাকবে না। আমার তো গুজরাট বানাব। কারণ গুজরাটে শিল্প হয়েছে, শিক্ষা হয়েছে, আর্থিক উন্নতি হয়েছে, সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত, গণতন্ত্র আছে, সংখ্যালঘুরাও আজ গুজরাটে সুরক্ষিত এরা যে ভুল প্রচার করতেন সেটা আজ ভুল প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তাই গুজরাট আমাদের সামনে আদর্শ।'
এছাড়াও শুভেন্দু ইস্যুতে দিলীপের বক্তব্য, টিএমসি-র কাউকে বহিষ্কার করার মত শক্তি নেই। তাহলে তো ফাঁকা হয়ে যাবে। সেজন্য আজকে তাঁরা কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন না। এখন কিছু করতে গেলে পার্টি একবারে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।