ডাল কেটে বসালেই হবে এই পাঁচ বাহারি গাছ! ঘর সাজানোর সেরা উপায়
স্যানসাভেরিয়া : এর একটা মজাদার নামও আছে- "মাদার-ইন-লজ টাঙ" মানে... না থাক, মানেটা না হয় অন্যদিন ব্যাখ্যা করব। গাছের বিষয়ে এটুকুই বলতে পারি, এই গাছটির মতো সহনশীল, সুন্দর ও সহজ গাছ খুব কমই আছে। দুপাশে হলুদ দাগসহ, অথবা শুধু সবুজ রঙের হয়। একটা বড় পাতা পুরোটা তুলে কেটে কেটে বসিয়ে দিলেই দিব্যি গাছ হবে। তবে হ্যাঁ, ২-৩ মাস ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হতে পারে। তবে একবার ধরে গেলে বেশ তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকে।
মানিপ্ল্যান্ট : কি, ভ্রু কোঁচকাচ্ছেন? ভাবছেন এটা তো সবাই জানে... কিন্তু সত্যি করে বলুন তো- এর থেকে সহজ ও সুন্দর বাহারি গাছ কটা আছে? ছোট টবে, বারান্দার গ্রিলে, বড় টবে বাঁশে জড়িয়ে- এত ভার্সেটাইল গাছ কিন্তু কমই আছে। আর কেটে বসালেই যে হয়ে যায়, তা নিশ্চয় সবাই জানেন?
মনস্টেরা : ২০২০ সালে ইন্টিরিয়র ডিজাইনারদের হঠাত্ই প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছে এই গাছটি। এর বড়, বাহারি পাতা যে কোনও ঘরের কোনে রাখলে নজর টানতে বাধ্য। অনেকটা মানি প্লান্টের মতই। ডাল কেটে বসালেই হবে। মাটি রাখতে হবে অল্প ভিজে। অল্প ছায়ায় রাখতে হবে। ১-২ মাস লাগবে নতুন পাতা ও শিকড় গজাতে।
ড্রাসিনা : বাড়ির বারান্দার পক্ষে এই গাছটি আদর্শ। এর লম্বা ও সরু গড়ন বেশি জায়গা নেয় না, অথচ এর সুন্দর সরু পাতা নজর কাড়বেই। এটিও ডাল কেটে বসালেই হবে। মাটি রাখতে হবে অল্প ভিজে। অল্প ছায়ায় রাখতে হবে। ১-২ মাস লাগবে নতুন পাতা ও শিকড় গজাতে।
ক্রোটন : আজ্ঞে হ্যাঁ, সাধারণত বাহারি গাছ বলতে আমরা এটাকেই বুঝি- আর খুব সহজলভ্য বলে হয় তো তেমন গুরুত্বও দিই না। কিন্তু নিয়মিত ডগা ছেঁটে ঘন করা হলে ও পর্যাপ্ত রোদ-জল পেলে এই গাছই হার মানাবে অনেক কঠিন ও দামি গাছকেও।