করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কাজে লাগান এই ৯টি মাস্কের যে কোনও একটি
বিশ্বে আতঙ্কের অপর নাম হয়ে দাড়িয়েছে করোনাভাইরাস। কোনও দেশই এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চিকিত্সকেরা ৯টি উন্নতমানের মাস্কের উল্লেখ করেছেন। যেগুলির দাম আনুমানিক ১,২০০ টাকা ৩,৫০০ টাকার মধ্যে।
প্রানা এয়ার মাস্ক: এই মাস্কটির মধ্যে ৬টি স্তরে এয়ার ফিল্টার, একটি এন৯৫ ফিল্টার, বায়ু চলাচল করার জন্য ফ্যান ও সাদা ফিল্টারের একটি স্তর আছে। ফ্য়ানের মধ্যে রিচার্জেবল ব্যাটারি আছে, য়ার ফলে এটি ৫ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে কাজ করবে। এছাড়াও এই মাস্কটির পরিশোধন ক্ষমতা ৯৯.৯৫ শতাংশ।
আটলান্টা স্বাস্থ্যসেবা ক্যামব্রিজ এন৯৯ এয়ার পলিউশন ফেস মাস্ক: এই মাস্কে একটি সিলভার লেয়ার আছে,যা জীবানু সৃষ্টি হতে বাধা দেয়। এই মাস্কের মধ্যে পিএম১০, পিএম২.৫, পিএম০.৩ ও ৯৯ শতাংশ বিশুদ্ধ বাতাস রয়েছে। বাজারে ১৫টি ভিন্ন ডিজাইনে পাওয়া যাচ্ছে এই মাস্ক। নাকের সঙ্গে যাতে সঠিক ভাবে আটকে থাকে তার জন্য একটি ক্লিপ ব্য়বস্থাও রয়েছে।
ক্রুসেডার্স মাস্ক এন৯৯: ডিসপোজেবল মাস্ক হওয়ায় বাজারে এই মাস্কটি অন্যান্য মাস্কের তুলনায় একটু সস্তা। এটি জল দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করা যায়। এতে একটি এন৯৯ ফিল্টার রয়েছে ও ৪টি স্তর আছে যা কার্বন ফিল্টার করতে সক্ষম। এছাড়াও এতে রয়েছে ০.৫ প্রতিস্থাপন ফিল্টার।
ভোগমাস্ক মাস্ক এন৯৯: এই মাস্কটিতে রয়েছে একটি এন৯৯ ফিল্টার ও শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য একটি বিশুদ্ধ ভালভ। বিবিন্ন ডিজাইন ও বিভিন্ন আকারে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এই মাস্ক।
আইডিএমএএসকে২: এই মাস্কে একটি নরম সিলিকন স্তর রয়েছে। এছাড়াও ট্রিপল স্তর ফিল্টার রয়েছে, যা ৯৫ শতাংশ জীবানু প্রবেশে বাধা দেয়। অন্যান্য মাস্কের তুলনায় এি মাস্ক অনেক বেশি কার্যকরী বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
রিপিলার এন৯৯: এতে এন৯৯ এর একটি কার্বন ফিল্টার রয়েছে যা পিএম২.৫-এর সঙ্গে কাজ করে। এই মাস্কটি জলে ধুয়ে ব্যবহার করা যায়। এটি টানা ১২ ঘন্টা ব্যবহার করা যায়।
হানিওয়েল পিএম২.৫ মাস্ক: এই মাস্কটি বাজারে সস্তায় পাওয়া যাবে। এটি পিএম২.৫ জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াই করবে। বিভিন্ন ডিজাইনে পাওয়া যাবে এই মাস্ক। এই মাস্ক ৯৫ শতাংশ বিশুদ্ধ করতে সাহায্য় করে।
প্লাস এননাইনপাইভ অ্যান্টি-পলিউশন মাস্ক: এটি ৯৯ শতাংশ ব্য়াকটেরিয়া সরিয়ে দেয়। এই মাস্কটি উন্নতমানের দূষণ ও প্রতিরোধক মাস্ক। এতে প্লাস এননাইনপাইভ ফিল্টার আছে।
আরকেমাস্ক: এই মাস্কটি দুটি সাইজে পাওয়া যায়। ছোট ও বড়। এই মাস্কটিতে একটি রেসো স্তোর আছে যা ৯০ শতাংশ বিষাক্ত গ্যাসকে নিরপেক্ষ করে। রঙের পরিবর্তন হলেই বোঝা যাবে এই মাস্ক আর কাজ করবে না। এই মাস্ক পিএম২.৫-এর ৯৮.৫ শতাংশ বল্ক করে।