দুনিয়ার এইসব জায়গায় গেলেই দেখা মিলতে পারে UFO-র
রাতের আকাশে উড়ন্ত চাকি বা সন্দেহজনক বস্তু দেখাতে পাওয়ার খবর নতুন নয়। দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের আকাশে সন্দেহজনক বস্তু কখনও তাড়া করেছে বিমান চালককে, আবার কখনও আতঙ্ক ছড়িয়েছে মাটিতে থাকা মানুষজনকে। মানুষের জল্পনা, ভিন গ্রহের প্রাণীরা এসব উড়ন্ত চাকিতে চড়েই পৃথিবী অভিযানে এসেছে। তবে এখনও নিশ্চিতভাবে প্রমাণ হয়নি আদৌ উড়ন্ত চাকি বা ইউফো বলে কিছু আদৌ আছে কিনা। দুনিয়ার এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখান থেকে এই ইউফো বা উড়ন্ত চাকির খবর পাওয়া গিয়েছে বারেবারেই। জেনে নিন এমন কিছু জায়গার কথা।
নাল্লারবোল প্লেন(অস্ট্রেলিয়া): অস্ট্রেলিয়ার এই এলাকায় ইউফো-র দেখা মেলার গুজব শোনা যায় ১৯৫০ সালে। এমনও রটে ভিন গ্রহের প্রাণীরা এসে লোকজনকে অপহরণ করছে। বাধ্য হয়েই সরকার সাইনবোর্ড টাঙায় উড়ন্ত চাকি থেকে সাবধান।
বানিব্রিজ(স্কটল্যান্ড)-১৯৯২ সালে ছোট্ট এই শহরের বাসিন্দারা বহুবার আকাশে কোনও অজানা বস্তু ভেসে বেড়ানোর অভিযোগ করেছিলেন। স্কটিশ সরকারের হিসেব অনুযায়ী, বছরে কমপক্ষে ৩০০ ওই ধরনের অভিযোগ জমা পড়ে পুলিসের কাছে।
সান ক্লিমেন্টে(চিলি)-গত ২ দশক ধরে চিলির এই অংশে আকাশে অজানা বস্তু বা উড়ন্ত চাকির মতো বস্তু ভেসে বেড়ানোর খবর আসছে। ২০০৮ সালে এখানে ১৯ মাইল বিস্তৃত একটি এলাকা চিহ্নিত করে সরকার। এখানে এলে নাকি ইউফোর দেখা মিলতেও পারে।
ইস্তানবুল(তুরস্ক)-২০০৮ সালে ইস্তানবুলের এক নৈশপ্রহরী টানা ৪ মাস ধরে বিভিন্ন সময়ে ইউফো বা উড়ন্ত চাকির ভিডিও রেকর্ড করেন। প্রত্যদর্শীরা সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন। ইউফো গবেষণায় ওইসব ভিডিওকে এখনও গুরুত্বপূর্ণ বলে মানা হয়।
সোচি(রাশিয়া)-ইউফোর দেখা পেতে রাশিয়ার সোচিতে যাওয়া যেতে পারে। এই বন্দর শহরের আকাশের প্রায়ই উজ্জ্বল উড়ন্ত চাকির মতো বস্তু দেখা যায় বলে বাসিন্দাদের দাবি। শুধু তাই নয় কিছু শহরবাসীর বিশ্বাস সেচির বিথাকা পাহাড় থেকে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে উড়ে যায় ইউফো।
মানিটোবা(কানাডা)-খুব বেশিদিনের কথা নয়, ২০১১ সালেই কানাডার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইউফো দেখার ৯৮৬টি ঘটনার খবর পাওয়া যায়। ২০১২ সালে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৯৮২-তে। তবে ১৯৭৫-৭৬ সালে দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছিল মানিটোবার আকাশে এক জ্বলন্ত গাড়ির মতো বস্তু।
দ্যা এম ট্রায়াঙ্গেল(রাশিয়া)-উরাল পর্বতের এই অঞ্চলটি ইউফোর জন্য বিখ্যাত। বহু বছর ধরে এই অঞ্চলের মানুষজন আকাশে উড়ন্ত চাকি, সন্দেহজনক আলো ও অচেনা সংকেত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছেন।