আতসবাজির দাপটে দূষণনগরী দিল্লি, দেখে নিন রাজধানীর `ভয়ঙ্কর` ছবি
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজধানীতে রাতভর চলল আতসবাজির দাপট। দিওয়ালির সকালে রেকর্ড গড়ল দিল্লির বায়ুদূষণ। নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে দূষণের মাত্রা এদিন ছিল ৯গুণ। শ্বাস নিতে নাজেহাল হতে হল দিল্লিবাসীকে।
আগামী তিনদিন ভারী এবং মাঝারি পণ্যবাহী গাড়ি ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেঠে দিল্লির পরিবহণ দফতর।
সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বাতলে দেওয়া হয় বাজির ধরণও। তবুও, ঠেকানো গেল না। দিওয়ালির পরের সকালে দিল্লির বায়ুদূষণ ছুঁয়ে ফেলল অতি সংকটজনক মাত্রা।
পঞ্জাব-হরিয়ানায় চাষীদের খড় পোড়ানোর ধূম। সঙ্গে দিওয়ালির আতসবাজি। দুইয়ের যুগলবন্দিতে দূষণের রেকর্ড গড়ল রাজধানী।
দিওয়ালির পরের সকালে দিল্লির বায়ুদূষণ সূচকের গড় ৫৭৪। ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়ামে বায়ুদূষণ সূচক ছিল ৯৯৯। চাণক্যপুরিতে দূষণ সূচক ছিল ৪৫৯।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডে বেঁধে দেওয়া মাপকাঠি অনুযায়ী প্রতিটিই সিভিয়ার প্লাস এমার্জেন্সি।
বিমানবন্দর-আর কে পুরম, ইন্ডিয়া গেট, অক্ষরধাম মন্দির-লোধি রোড। সর্বত্রই ঘন ধোঁয়াশার চাদর।
বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল আনন্দ বিহার, আইটিও, জাহাঙ্গীরপুরীতে। দেদার শব্দ বাজি ফেটেছে ময়ূর বিহার, লাজপত নগর, লুটিয়েনস দিল্লি, দ্বারকাতেও।
আতসবাজির দাপট রুখতে ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছে দিল্লি পুলিসও। নির্দেশভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনিপথে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
দূষণে অবশ্য দিল্লিকে কাঁটে কা টক্করে ফেলেছে কলকাতা-কানপুর-মুম্বই-চেন্নাই। সুপ্রিম নিষেধ অমান্য করে সেখানেও রাতভর আতসবাজির তাণ্ডব।