লকডাউন শিথিলের দ্বিতায় দিন, রাস্তার ভিড় দেখে প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরাও
তন্ময় প্রামাণিক: লকডাউন শিথিলের দ্বিতীয় দিন। তবে সাম্প্রতিক রাস্তার ছবিটা দেখলে ভয় পাবেন আপনিও। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। অথচ অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে ধাপে ধাপে লকডাউন শিথিল ছাড়া এদিকে উপায়ও নেই। তবে হুঁশ ফিরছে না রাজ্যবাসীর। সকাল হতেই কর্মস্থলে বেরোনোর তাগিদে বাসের অপেক্ষায় ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন মানুষজন।
সময়টা মঙ্গলবার সকাল ১০টা, ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং ও টিপু সুলতান মসজিদ সংলগ্ন লেনিন সরণি। থিক থিক করছে ভিড়। আর পাঁচটা স্বাভাবিক দিনের মতোই ব্যস্ততা।
ভাড়ার গেড়োয় বেসরকারি বাস পথে নামে নি। মিনিবাস এবং দু-একটি বড় বাস। কোনটায় সিট ফাঁকা, কোনটাই ভর্তি রয়েছে। কারও মুখে মাস্ক রয়েছে। কেউবা আবার মাস্কের পরোয়াই করছেন না। বাসে সিটের চেয়ে বেশি মানুষ উঠে পড়েছেন। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই লাটে উঠেছে স্যোশাল ডিসট্যান্সিং।
পরিস্থিতি দেখে আতঙ্কিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও। বিশিষ্ট চিকিৎসক কুনাল সরকার বলছেন, এমনটা চললে কিন্তু সংক্রমণ আগামী দিনে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছবে। আমাদের সচেতন হওয়া দরকার এবং এই জায়গায় নিয়ম মানা দরকার।
ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এ যেন আমরা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি। এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমনের সংখ্যা কিন্তু আকাশছোঁয়া হতে পারে। আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। না হলে এতদিনের লকডাউন কিংবা এই যে লকডাউন শিথিল করে অর্থনীতিকে সচল করার চেষ্টাই বৃথা হয়ে যাবে।"