গত ২৪ ঘণ্টায় চিদাম্বরমকে নিয়ে যে ‘নাটক’ চলল... দেখে নিন এক নজরে
চিদাম্বরমের দুঁদে দুই আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি নানা যুক্তি দিয়ে সিবিআই হেফাজত রোখার চেষ্টা করেন। তবে শেষমেশ ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
শুনানির শুরুতেই চিদাম্বরমকে ৫ দিনের হেফাজতে চায় সিবিআই। তাঁকে হেফাজতে নিলে তদন্ত আরও সহজ হবে যুক্তি দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিবিআই আদালতে।
সকাল থেকেই জেরা শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টা ৩ চিদাম্বরমকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
শেষমেশ পি চিদাম্বরম আত্মসমর্পণ করতে রাজি হন। রাতেই গ্রেফতার করে সিবিআইয়ের দফতরে আনা হয় তাঁকে।
তাঁর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। কংগ্রেস সমর্থকরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পাঁচিল পেরিয়ে তদন্তকারীরা ঢুকে পড়েন বাড়িতে।
সাংবাদিক বৈঠক শেষে জোড়বাগের বাসভবনে রওনা হলে সিবিআইয়ের আধিকারিকরাও হানা দেয়।
সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় কোনওভাবে জড়িত নন বলে দাবি করেন পি চিদাম্বরম।
এর ফলে চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করতে আরও সহজ হয়ে যায় সিবিআইয়ের। এ দিকে পি চিদাম্বরম কংগ্রেসের সদর দফতরে এসে সাংবাদিক বৈঠক করেন।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে আবেদন তালিকাভুক্ত করতে বিকেল গড়িয়ে যায়। শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় আগামী শুক্রবার শুনানি হবে।
গতকাল হন্যে হয়ে সুপ্রিম কোট চত্বরে ঘুরে বেড়ান পি চিদাম্বরম। হাইকোর্ট তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে জামিনের আবেদন করেন তিনি।
রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পি চিদাম্বরমের উদ্দেশে লুক আউট নোটিস জারি করে ইডি।