Top 10 Shortest Indian Cricketer in India: ছবিতে দেখে নিন টিম ইন্ডিয়ার ১০ বেঁটে ক্রিকেটার, তালিকায় গাভাসকর-সচিন-বিশ্বনাথ
ভারতের প্রাক্তন ডান হাতি ওপেনিং ব্যাটার ৯১ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৬০৮০ রান করেছিলেন। গড় ৪১.৯৩। সঙ্গে রয়েছে ১৪টি শতরান ও ৩৫টি অর্ধ শতরান। এছাড়া ২৫টি একদিনের ম্যাচে তাঁর রান ৪২৯। গড় ১৯.৯৫। মাত্র দুটি অর্ধ শতরান করেছিলেন। টেস্টে ১টি উইকেট নিলেও একদিনের ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে কোনও উইকেট নেই।
পার্থিব প্যাটেল তাঁর কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সে। ২০১৮ সালে শেষ বার দেশের হয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন পার্থিব। ২০০২ সালে অভিষেক হওয়ার পরে পার্থিব ২৫টি টেস্ট ম্যাচ ও ৩৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে তাঁর রান ৯৩৪। গড় ৩১.১৩। সঙ্গে রয়েছে ৬টি অর্ধ শতরান। এছাড়া ৭৩৬ রান করেছেন। গড় ২৩.৭৪। তাঁর ঝুলিতে ৪টি অর্ধ শতরান রয়েছে। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ দলে ঢুকে পড়েছিলেন পার্থিব। তবে তৎকালীন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় উইকেটকিপার হিসাবে রাহুল দ্রাবিড়ের নাম প্রস্তাব করেন। এর পর মহেন্দ্র সিং ধোনির যুগ শুরু। ফলে বিশ্বকাপ খেলা আর হয়ে ওঠেনি তাঁর।
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টেই শতরান। এর আগে অধিনায়ক হিসেবে জিতেছিলেন অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ। তবে এরপর থেকেই একাধিক ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য বাইশ গজের যুদ্ধ থেকে ক্রমশ হারিয়ে গিয়েছেন ওপেনার। ৫টি টেস্টে তাঁর রান ৩৩৯। গড় ৪২.৩৭। সঙ্গে রয়েছে ১টি শতরান ও ২টি অর্ধ শতরান। এছাড়া ৬টি একদিনের ম্যাচে ১৮৯ রান করেছেন পৃথ্বী। গড় ৩১.৫০। ঝুলিতে শতরান ও অর্ধ শতরান নেই। এছাড়া জাতীয় দলের হয়ে ১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও সাফল্য পাননি।
টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে চাপিয়ে কোনও টেস্ট খেলেননি। ৭৩টি একদিনের ম্যাচে তাঁর রান ১৩৮৯। গড় ৪২.০৯। সঙ্গে রয়েছে ২টি শতরান ও ৬টি অর্ধ শতরান। এছাড়া ৫০ ওভারের ফরম্যাটে কেদার নিয়েছেন ২৭টি উইকেট। এদিকে জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৯ ম্যাচে তাঁর রান ১২২। গড় মাত্র ২০.৩৩। ঝুলিতে কোনও উইকেট নেই।
মাত্র ২টি টেস্টে খেলেই এই মুম্বইকরের কেরিয়ার শেষ হয়ে যায়। ৬ উইকেট নেওয়ার সঙ্গে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ১৩ রান। এদিকে ৩১টি একদিনের ম্যাচে নিয়েছিলেন ৩৪টি উইকেট। করেছিলেন মাত্র ১৬৩ রান। মাত্র ১টি অর্ধ শতরান করেছিলেন রমেশ পাওয়ার।
ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনার। টেস্টে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ১০ হাজার রান করা সুনীল গাভাসকরকে উচ্চতার জন্য অনেক কথা শুনতে হয়েছিল। তবে সমালোচনায় ভেঙে পড়েননি। বরং হুক, পুল, ড্রাইভ খেলে সানি জবাব দিয়েছেন সমালোচকদের। ১২৫টি টেস্টে তাঁর রান ১০১২২। সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৩৬। গড় ৫১.১২। সঙ্গে রয়েছেন ৩৪টি শতরান ও ৪৫টি অর্ধ শতরান। এছাড়া ১০৮টি একদিনের ম্যাচে ৩০৯২ রান করেছিলেন 'লিটল মাস্টার'। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৩ রান। গড় ৩৫.১৩। সঙ্গে রয়েছে ১টি শতরান ও ২৭টি অর্ধ শতরান। টেস্ট ও একদিনের ফরম্যাটে ১টি করে উইকেট নিয়েছিলন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
ভারতবর্ষে ক্রিকেটকে যদি ধর্ম হিসাবে মানা হয় তাহলে সেই ধর্মের ভগবান হলেন সচিন তেন্ডুলকর। ক্রিকেটকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সচিনের অবদান কোনওদিন ভোলার নয়। ২৪ বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটের ভার বয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। কত কত জয়, কত আনন্দের উপলক্ষ ছিলেন 'গড অফ ক্রিকেট'।
সর্বাধিক ২০০টি টেস্টে তাঁর রান ১৫৯২১। এই রান এখনও কেউ টপকাতে পারেননি। গড় ৫৩.৭৮। সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৪৮। সঙ্গে রয়েছে ৫১টি শতরান ও ৬৮টি অর্ধ শতরান। এদিকে লাল বলের ক্রিকেটে ৪৬টি উইকেট নিয়েছিলেন সচিন। ৪৬৩টি একদিনের ম্যাচে করেছিলেন ১৮৪২৬ রান। সর্বাধিক রানের নিরিখে এই রেকর্ডও সচিনের ঝুলিতেই রয়েছে। সর্বোচ্চ অপরাজিত ২০০ রান। গড় ৪৪.৮৩। সঙ্গে রয়েছে ৪৯টি শতরান ও ৯৬টি অর্ধ শতরান। ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও বল হাতে সফল সচিন। নিয়েছিলেন ১৫৪টি উইকেট।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিন ফরম্যাটেই সফল কুলদীপ যাদব। ৮টি টেস্টে নিয়েছেন ৩৪টি উইকেট। একদিনের ক্রিকেটে ৮১টি ম্যাচ খেলে তাঁর ঝুলিতে এসেছে ১৩৪টি উইকেট। সঙ্গে রয়েছে দুটি হ্যাটট্রিক। এছাড়া ২৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিয়েছেন ৪৬টি উইকেট।
সদ্য কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলেছেন। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অনেক আগেই দাগ কেটেছেন ঈশান কিশান। ১৪টি একদিনের ম্যাচে তাঁর রান ৫১০। গড় ৪২.৫০। সঙ্গে রয়েছে ১টি শতরান ও ৩টি অর্ধ শতরান। সর্বোচ্চ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৩১ বলে ২১০ রান। এদিকে ২৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬৫৩ রান করেছেন। ঝুলিতে রয়েছে ৪টি অর্ধশতরান। গড় ২৫.১১।
জাতীয় দলের হয়ে তিন ফরম্যাটেই সফল অজিঙ্কা রাহানে। ৮৪টি টেস্টে তাঁর রান ৫০৬৯। গড় ৩৮.৬৯। সঙ্গে রয়েছে ১২টি শতরান ও ২৬টি অর্ধ শতরান। সর্বোচ্চ ১৮৮ রান। ৯০টি একদিনের ম্যাচে রাহানে ২৯৬২ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ১১১ রান। গড় ৩৫.২৬। করেছেন ৩টি শতরান ও ২৪টি অর্ধ শতরান। এদিকে ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে করেছেন ৩৭৫ রান। সর্বোচ্চ ৬১ রান। গড় ২০.৮৩। ঝুলিতে রয়েছে ১টি অর্ধ শতরান।