গাছ তো নয় Oxygen-ভাণ্ডার, ঘরে রাখলে সুস্থ থাকবেন
তুলসীর গুণাগুণ সম্পর্কে বাড়তি বলার কিছু নেই। ঘরের ভিতর তুলসী গাছ রাখলে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ করবে। শুধু তাই নয়, কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও সালফার-ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাসগুলিকে শোষণ করে ঘরের বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে তুলসী।
বাতাসের দূষিত কণা টোলুইন, ক্ষতিকারক টক্সিন বেঞ্জিন ও ফর্ম্যালডিহাইডকে শোষণ করে ঘরে অক্সিজেন লেভেল প্রচুরভাবে বাড়ায় বাঁশ গাছ।
NASA এর গবেষকদের মতে এই গাছ মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের বাতাসের প্রায় ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে।
বাতাস পরিশুদ্ধ করতে খুবই উপযোগী এই গাছ। খুব বেশি আলো বা জলের প্রয়োজন হয় না। তবে একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তবে ঘরের বাচ্চা বা পোষ্যকে গাছটির থেকে দূরে রাখবেন। কারণ এই গাছের পাতা শরীরে বিষক্রিয়া করতে পারে।
এই গাছটির বিশেষত্ব হল খুব কম আলোতেও এরা সালোকসংশ্লেষ করতে পারে। ফলে অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখে। স্টাইরিন, গ্যাসোলিন জাতীয় টক্সিন বাতাস থেকে শুষে নিতে সক্ষম। একটা গাছ প্রায় ২০০ বর্গ মিটার এলাকার বাতাস পরিশুদ্ধ করে তুলতে পারে।
ইন্ডোর প্ল্যান্টগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় স্নেক প্ল্যান্ট। NASA দ্বারা স্বীকৃত এই গাছ টক্সিন শোষণ বা অক্সিজেন সরবরাহ তো করেই সেই সঙ্গে রাতেও এরা অক্সিজেন ঘরের মধ্যে ছাড়তে থাকে। খুব আলো বা জলের প্রয়োজন হয়না এবং সহজে মরেও না এই গাছ। তাই বেডরুমে রাখার জন্য সব থেকে আদর্শ গাছ এটা। বিশেষত ট্রাইক্লোরোথাইলিন এবং ফর্মালডিহাইড জাতীয় টক্সিন শুষে বাতাস পরিষ্কার করে স্নেক প্ল্যান্ট।
ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। বাংলায় যাকে বলে ঘৃতকুমারী। ঘরের মধ্যে কার্বন-মনো-অক্সাইড, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ফর্মালডিহাইডের মতো ক্ষতিকারক টক্সিন শোষণ করে নেয়। শুনলে অবাক হবেন, ৯টি Air Purifier এর কাজ একাই করতে পারে একটা অ্যালোভেরা গাছ।