আনন্দে মেতেছে ওপার বাংলা, দেখে নিন বাংলাদেশের সেরা পাঁচ পুজো
শারদীয়ার আনন্দে মেতেছেন ওপার বাংলার মানুষ। এই বাংলার মতোই ওপারেও আগামী পাঁচদিন থাকবে উত্সবের আমেজ। ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক ঐতিহ্যশালী দুর্গাপুজো। তার মধ্যে সেরা পাঁচটি তুলে ধরা হল।
বাংলাদেশের প্রাচীনতম মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকেশ্বরী মন্দির। প্রচলিত লোককথা, এক সময় রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গার নদীর ধারে জঙ্গলে একটি দূর্গা মূর্তি খুঁজে পান। তার পরই তিনি মূর্তি স্থাপন করে পুজোর প্রচলন করেন। সেই থেকে এই মন্দির ঢাকেশ্বরী মন্দির নামে পরিচিত। এক সময় এই মন্দির জঙ্গল পরিবেষ্টিত ছিল। অনেকে বলেন, এই মন্দিরের নাম অনুসারে ঢাকা নামকরণ হয়। মুঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মান সিং এখানে চারটি শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পুজোর সময় এই মন্দিরে দর্শকদের ঢল নামে। অনেকেই পুজো দেখার ফাঁকে মন্দিরের পুরনো শিল্পশৈলিও দেখে নেন।
১৮৯৯ সালে ঢাকার রামকৃষ্ণ আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানেও পুজোর মূল আকর্ষণ কুমারী পুজো। অষ্টমীতে কুমারী পুজা দেখার জন্য ঢাকার রামকৃষ্ণ আশ্রমে দর্শনার্থীদের ঢল নামে।
ঐতিহ্যের কথা উঠলে প্রথমেই থাকবে পুরনো ঢাকার দুর্গাপুজোর আমেজ। পুরনো ঢাকার মূল আকর্ষণ শাখারিবাজারের দুর্গাপুজো। ছোট্ট বাজারে শাখা, পলাসহ বিভিন্ন মনিহারি জিনিসপত্রের দোকান রয়েছে। শাখারিবাজারে এখন মোট ন'টা পুজো হয়। প্রতিটা পুজোর বয়সই ৪০ বা ৫০ বছরের বেশি।এখানে বেশ কিছু বাড়িতেও দুর্গাপুজো হয়। দর্শকদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো।
১৯৭১ সালে পাক হানাদাররা রমনা কালী মন্দিরটি ধ্বংস করে দিয়েছিল। তার পর এখানে স্থায়ী কোনও মন্দির স্থাপন হয়নি। তবে পুজো হয় প্যান্ডেল করে। রমনা কালী মন্দির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত। তাই এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড় থাকে প্রচুর।
বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার লিটন শিকদার নামে এক ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২০১০ থেকে শুরু হয়েছে এই পুজো। বর্তমানে শিকদার বাড়ির দুর্গা পুজো বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পুজোগুলোর একটা। বাংলাদেশে সাধারণত খুব এখটা থিম নির্ভর পুজো মণ্ডপ হয় না। কিন্তু এই শিকদার বাড়িতে থিম পুজোর রমরমা দেখা যায়। বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি তুলে ধরা হয়। এই পুজোর প্রতি বছর প্রতিমার সংখ্যা বাড়ে।