সোমবার থেকে এই রাজ্যে প্রথম শুরু হচ্ছে উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ
সোমবার থেকে এই রাজ্যে প্রথম শুরু হচ্ছে উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ উচ্চবর্ণের গরিবদের সংরক্ষণ বিলে শনিবার স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রবিবার প্রথম রাজ্য হিসেবে সংরক্ষণ লাগু করল গুজরাট।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ঘোষণা করেছেন, ১৪ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাক্ষেত্র ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ দেওয়া হবে সবর্ণ দুঃস্থদের। অর্থাত্ সোমবার থেকেই নতুন সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে গুজরাটে। উল্লেখ্য, ২০ জানুয়ারি গুজরাটে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা।
বলে রাখি, পটেলদের সংরক্ষণের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল গুজরাট। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থন দিয়েছিলেন পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেল।
গুজরাটের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অমিত ছাবড়া সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর কথায়, ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির ছুটি। কীভাবে এটা লাগু করা সম্ভব, তা জানাতে হবে মুখ্যমন্ত্রী। তাড়াহুড়োর করে নিয়ম লাগু করতে লেগে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে।
লোকসভা ভোটের আগে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে মোদী সরকার। স্বাধীনতার পর প্রথমবার আর্থিক মাপকাটিতে সংরক্ষণ পেতে চলেছেন উচ্চবর্ণের যুবক-যুবতীরা।
বুধবার রাজ্যসভায় সর্বসম্মতিতে পাশ হয় সংবিধানের ১২৪তম সংশোধনী। ১৬৫টি ভোট পেয়েছিল বিলটি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ৫জন সাংসদ। তার আগে মঙ্গলবার লোকসভায় ৩২৩টি ভোট পায় বিলটি। বিপক্ষে যায় ৩টি। শনিবার বিলে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
ইতিমধ্যে আবার বিলটির সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতে মামলাকারীর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সংরক্ষণের ৫০ শতাংশ সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইউথ ফর ইক্যুয়ালিটি নামের একটি সংস্থার সভাপতি কৌশলকান্ত মিশ্র আর্জি করেছেন, বিলটি পাশের ফলে সংরক্ষণ ৬০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। এতে সুপ্রিম কোর্টের রায় লঙ্ঘন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আর্থিকভাবে সংরক্ষণ সংবিধানের অবমাননা বলেও দাবি করেছেন কৌশলকান্ত।
আর্থিক সংরক্ষণের জেরে পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষের কম বা ৫ একরের কম কৃষি জমি থাকলে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন যুবক-যুবতীরা।