University of Dhaka: শতবর্ষে উপনীত বাঙালির অহঙ্কার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Soumitra Sen Thu, 01 Jul 2021-5:40 pm,

শতবর্ষে উপনীত হল ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষা-সাংস্কৃতিক প্রভাব অপরিসীম। শিক্ষার সর্বোচ্চ উত্‍কর্ষের মানদণ্ডে বরাবর উপরের সারির এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই ঢাকা ইউনিভার্সিটি। 

 

১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের ব্রিটিশ সিদ্ধান্ত ১৯১১ সাল নাগাদ পরিত্যক্ত হলেও তার পর থেকেই পূর্ব বাংলার কিছু মানুষ তাঁদের নিজস্ব একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনে মনে চাইছিলেনই। ঢাকার নবাব Sir Khwaja Salimullah Bahadur-এর প্রতিনিধিত্বে  একদল মুসলিম Dhaka-য় একটি বিশ্ব বিদ্যালয়ের জন্য ব্রিটিশদের কাছে দরবার করলেন। Lord Curzon রাজি হলেন এবং ঘোষণা করলেন ঢাকায় বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপিত হবে। নিজের এস্টেট থেকে ৬০০ একর জমি দিয়ে Nawab Sir Khwaja Salimullah এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলায় পথিকৃতের ভূমিকা পালন করলেন। 

 

বাংলাদেশের সব চেয়ে প্রাচীন বিশ্ব বিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়। ১৯২১ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিন, ১ তারিখে এর প্রতিষ্ঠা। স্বাধীনতা-পর্বে ভারতভাগের পরে এই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে যায়। 

তবে যে ভাবনা থেকেই এই প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক প্রথম থেকেই পুব ও পশ্চিম দুই বাংলার বাঙালির সঙ্গেই এর নিবিড় যোগ ছিল। ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করল জগদীশচন্দ্র বসু, যদুনাথ সরকার, শরত্‍চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। 

পরবর্তী কালে এই বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে যাঁরা পড়ে বেরিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বাঙালি সম্ভবত সব চেয়ে বেশি আলোড়িত হন বুদ্ধদেব বসুকে নিয়ে। 

এছাড়াও তালিকা দীর্ঘ ও উজ্জ্বল। কবি অজিত দত্ত। অর্থনীতিবিদ ও পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থমন্ত্রী তথা অধ্যাপক অশোক মিত্র। মনস্বী ভবতোষ দত্ত। 

 

বাংলা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রী। 

আর যাঁরা যাঁরা এখানে পড়াতেন, তাঁরা সব জ্যোতিষ্ক। সত্যেন্দ্রনাথ বসু, রমেশচন্দ্র মজুমদার, যদুনাথ সরকার, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, মোহিতলাল মজুমদার।  

আগামি দিনে আরও কত পথ পেরিয়ে যাবে এই প্রতিষ্ঠান। আরও কত জ্যোতিষ্কের জন্ম দেবে। তঁরা দিনে দিনে পুষ্ট করবেন বাঙালি ভাষা-সংস্কৃতিকে। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link