Uterus: সবসময় পেট ভার? বড় বিপদের ইঙ্গিত নয় তো!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আপনার কি সবসময় পেট ভার থাকে কিংবা একদমই খিদে পায় না! আপনি যদি মহিলা হন তাহলে অতি সাধারণ সমস্যা ভেবে এটিকে এড়িয়ে যাবেন না। সামান্য কিছু ঘটনাও মাঝে মধ্যে ডেকে আনতে পারে অনেক বড় বিপদ। বর্তমানে মহিলাদের বাড়ি-অফিস সামলে নিজেদের জন্য একটুও সময় থাকে না। তাই সিস্ট, ফাইব্রয়েড, টিউমারের মতো ঘটনা খুব সাধারণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আগে থেকে সমস্যা ধরা পড়লে, ভুগতেও কম হয়। খুব সাধারণ ৭ টি লক্ষণ এই সমস্যাগুলির উপসর্গ হতে পারে...
সারাদিন খুব ধকল গেলে, শোয়ার সমস্যা হলে, গ্যাস হলে আরও নানা কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু জরায়ুতে ফাইব্রইয়েড হলে এই সমস্যাটি প্রকটভাবে দেখা যায়। জরায়ুতে ফাইব্রয়েড অর্থাৎ একটি অযাচিত মাংস পিণ্ডের উদয় হলে, তা পিঠের নীচের অংশের পেশী ও স্নায়ুতে চাপ দেয়। ফলে, পিঠে, কোমরে ব্যথা হওয়া রোজকারের ঘটনা হয়ে যায়।
মহিলাদের ডিম্বাশয়, জরায়ু, মুত্রাশয়ের কার্যপদ্ধতি একে অপরের উপর নির্ভরশীল। ফলে যেকোন একটি অংশে সমস্যা হলে অপর অংশগুলিতেও সমস্যা দেখা দেয়। জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হলে, মূত্রাশয় ভারী লাগে। ঘন ঘন প্রস্রাব পাচ্ছে মনে হয়।
জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হলে পেটের নীচের অংশে ভার অনুভূত হয়। একারণেই তল পেটে ব্যথা হওয়া এবং পেট ফুলে থাকার মতো সমস্যা ঘন ঘন দেখা যায়। মাসিকের সময় কেটে গেলেও, ক্রমাগত তলপেটে ব্যথা হলে এই সমস্যাকে একদমই উপেক্ষা করা উচিত নয়।
যেহেতু জরায়ু, মূত্রাশয়, যোনিপথ একে অপরের সাথে জড়িত, সেহেতু জরায়ুতে অতিরিক্ত এক বা একাধিক অবাঞ্ছিত মাংসখণ্ড দেখা গেলে বহু সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত রক্তপাত অন্যতম লক্ষণ। একারণেই বহু মহিলার রক্তাল্পতার পাশাপাশি, ক্লান্তি, মাথাব্যথা অলসতা দেখা দেয়।
জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হলে মলদ্বারে অতিরিক্ত চাপ অনুভূত হয়। ফলে মলত্যাগে সমস্যা দেখা দেয়। বহুক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা যায়।
ফাইব্রয়েড হলে নীচের অংশে একটি অতিরিক্ত চাপ বাড়ে। ফলে, পেট, কোমর, মলদ্বারের পাশপাশি পেলভিকেও চাপ তৈরি হয়। ফলে পেলভিকেও ব্যথা দেখা যায়। তবে এক্ষেত্রে দুই থেকে চার সপ্তাহ পর নিজে থেকেই এই ব্যথা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু ব্যথা কমে যাওয়ার কদিন পর আবার এই ব্যথা নিজে থেকেই দেখা দেয়।
জরায়ু হচ্ছে মহিলাদের অন্যতম প্রধান জননঅঙ্গ। এখানেই নিষিক্ত ডিম্বাণু ভ্রুণে পরিণত হয়। সুতরাং জরায়ুর কোন সমস্যা হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চা ধারণেও সমস্যা দেখা দেবে।
এছাড়াও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। ফলে মানসিক সমস্যা যেমন ডিপ্রেশন, খিটখিটে মেজাজ দেখা যায়। শরীর ও মন দুও খারাপ থাকলেই স্বাভবিকভাবেই তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। ফলে, এই সাতটি লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।