Vande Bharat Express: অন্যান্য এলিট ট্রেনের থেকে কতটা এগিয়ে বন্দে ভারত, বাড়তি কী সুবিধে পাবেন যাত্রীরা
মাত্র ৮ ঘণ্টায় হাওড়া থেকে এনজেপি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর হাওড়া থেকে দুরন্ত গতির ওই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর ফলে রাজধানী, শতাব্দী ও দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো এলিট ট্রেনের সঙ্গে এবার পাল্লা দেবে বন্দে ভারত।
হাওড়া থেকে এনজেপির যতটা ভাড়া তাতে সাধারণ যাত্রীদের তা গায়ে লাগার কথা। কিন্তু তার পরেও এই ট্রেন যাত্রীদের টানবে তার গতি ও সফর সাচ্ছন্দের জন্য। অর্থাত্ দেশের ৩ দ্রুতগামী ট্রেনকে চ্যালেঞ্জই শুধু নয়, টেক্কাও দেবে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দৌড়তে পারবে ১১০-১৩০ কিলোমিটার বেগে। তবে গোটা যাত্রাপথে এই গতির গড় করলে তা নেমে যাবে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার নীচে। যাই হোক গতির রোমাঞ্চ উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।
গতি থেকে সাচ্ছন্দ, প্রয়ুক্তিগত সুবিধে থেকে অত্যাধুনিক বহুকিছু সুবিধে দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ট্রেনটিকে। ট্রেনের সিটগুলিকে ঘোরানো যাবে ১৮০ ডিগ্রি। ফলে যাত্রীরা যেমন খুশি বসতে পারবেন। দুর্ঘটনা রোধের জন্য এই ট্রেনে রাখা হয়েছে বিশেষ প্রযুক্তি। দৃষ্টিহীনদের সুবিধের জন্য আসনের নম্বর লেখা থাকছে ব্রেইলি পদ্ধতিতেও। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য রয়েছে বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থা। এছাড়াও থাকছে ইনফরমেশন বোর্ড, ওয়াইফাই, জিপিএস প্যসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কোচ তৈরি করা হয়েছে বিশেষভাবে। এতে দুর্ঘটনায় ক্ষতির সম্ভাবনা কমবে। অন্যান্য ট্রেনের থেকে অনেকটাই হালকা হওয়ায় এই ট্রেনের গতি অনেকটাই বাড়বে। ট্রেনের দুই দিকেই থাকছে পাইলট কেবিন। সেই কেবিনের বাইরে থাকছে ক্যামেরা। এর ফলে তিনি প্লাটফর্মের অনেকটাই দেখতে পারবেন। গতি বেশি হওয়ায় এর ব্রেকিং সিস্টেমও অনেক উন্নত। এতে বিদ্যুতের খরচও কমবে। অন্য় ট্রেনের তুলনায় বন্দে ভারতের জানালা অনেকটা বড়। ভেতরে মালপত্র রাখায় জায়গাও অনেক বেশি।