ফণি অতীত, এবার আসছে বায়ু! `নাম` পেয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আরও ছয়
ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি গতিবেগে ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ফণি। তীব্র ঘূর্ণিঝড় (এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম) ফণির আতঙ্ক ছড়িয়েছিল চারপাশে। তবে ফণি এখন বাংলাদেশে সরে গিয়েছে। ফলে বাংলার বিপদ কেটেছে বলা চলে।
ফণি নামটা বাংলাদেশের দেওয়া। এতদিনে সে খবর জেনেছে সবাই। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লুএমও) আঞ্চলিক কমিটি নামকরণ চূড়ান্ত করে। আটলান্টিক অঞ্চলে ঝড়ের নাম দেওয়ার প্রথা চালু ছিল। ওই অঞ্চলে নিরক্ষীয় ঝড়ের নামকরণ করা হত কয়েকশো বছর আগে থেকে।
২০০০ সাল থেকে ভারত মহাসাগরে উদ্ভুত ঝড়ের নাম দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগে ঝড় শনাক্ত করার ক্ষেত্রে নম্বর বা বর্ণের সাহায্য নেওয়া হত। কিন্তু সে সব নম্বর বা বর্ণ সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে উঠত। ফলে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়ে মানুষকে সতর্ক করা কঠিন হত।
২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোতে ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। ভারত মহাসাগরের কাছাকাছি বিশ্ব সংস্থার অন্তর্গত আটটি দেশ ঝড়ের নামকরণ করে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান। এই প্যানেলকে বলা হয় ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (এএসসিএপি)। ফণি নামটি যেমন করেছিল বাংলাদেশ। এবার পরবর্তী ঝড়ের নাম দিয়েছে ভারত। বায়ু।
বায়ুর পর আরও ছয়টি ঝড়ের নামের তালিকা তৈরি। সেগুলি হল হিক্কা, কায়ার, মাহা, বুলবুল, পবন এবং আম্ফান। এর পর আবার নামকরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভারতের প্রস্তাবিত নামগুলি ছিল অগ্নি, আকাশ, বিজলি, জল, লহর, মেঘ, সাগর।