নেই কোনও ঋণের বোঝা, কলকাতা ও শান্তিনিকেতনে ৩টি বাড়ির মালিক Anjana Basu
বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বহু আগেই। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়ছেন অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে নিয়ম মেনে হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণ দাখিল করেছেন অঞ্জনা।
হলফনামায় অঞ্জনা বসু জানিয়েছেন, ২০১৮-১৯ তাঁর উপার্জনের অঙ্ক ছিল ১৬ লক্ষ ১৮ হাজার ১৩৬ টাকা। ২০১৯-২০তে অঞ্জনা বসুর উপর্জন ১৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
অঞ্জনা হলফনামায় তাঁর স্বামীর উপার্জনের অঙ্কও জানিয়েছেন। অঞ্জনার স্বামী সুমন্ত্র বসুর ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে উপার্জন ছিল ২০ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৮৪ টাকা। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে উপার্জনের পরিমাণ ২১ লক্ষ ৬০ হাজার ২৫২ টাকা। সুমন্ত্র-অঞ্জনার একমাত্র ছেলে অরিত্রর বয়স ২০ বছর। তিনি অবশ্য এখনও বাবা-মায়ের উপরই নির্ভরশীল।
হলফনামা দিতে যাওয়ার মুহূর্তে অঞ্জনার হাতে ছিল নগদ ৫০ হাজার টাকা। তাঁর স্বামী সুমন্ত্র বসুর হাতে রয়েছে ৬০ হাজার টাকা। অঞ্জনার নামে তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যেগুলিতে যথাক্রমে ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার ১৬২ টাকা, ৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা এবং ৭২ হাজার ২০৬ টাকা রয়েছে। সুমন্ত্র বসুর ব্যাঙ্কে রয়েছে ৬০ হাজার টাকা।
অঞ্জনার নামে তিনটি গাড়ি রয়েছে। মাহিন্দ্রা এসইউভি ৫০০, মারুতি অল্টো এবং হুন্ডাই আই ২০। সুমন্ত্র বসুর নামে রয়েছে একটি হুন্ডাই গ্র্যান্ড আই টেন। এছাড়াও আছে হিরো হন্ডার মোটরবাইক।
অঞ্জনার কাছে থাকা সোনার গয়নার পরিমাণ ১২০ গ্রাম। যার বাজার দর বর্তমানে ৫ লক্ষ ৮১ হাজার ২২২ টাকা। তাঁর স্বামীর নামে রয়েছে ১০ গ্রাম সোনা, যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা।
যাদবপুরের জুবিলি পার্কের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন অঞ্জনা বসু, যাঁর মালিকানা অভিনেত্রী এবং তাঁর স্বামীর নামে যুগ্মভাবে রয়েছে। যাদবপুরের রসা রোডেও তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। শান্তিনিকেতনে অঞ্জনা বসুর একটি বাড়িও রয়েছে।
বিমার ক্ষেত্রে অঞ্জনা বসুর বিনিয়োগ রয়েছে ২৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৩৯১ টাকা। তাঁর স্বামী সুমন্ত্র বসু অবশ্য বিমায় বিনিয়োগের ব্যাপারে কোনও নথি জমা দেননি। অঞ্জনা বসু ও তাঁর স্বামীর নামে কোনও ব্যাঙ্ক ঋণও নেই।
হাওড়া গার্লস স্কুল থেকে পড়াশোনার পর অঞ্জনা বসু ভর্তি হন বিজয়কৃষ্ণ কলেজে। মনোবিদ্যায় স্নাতক হওয়ার পরে চলে আসেন কলকাতায়। স্নাতকোত্তরে জন্য রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে ভর্তি হন।
স্নাতকোত্তরের পর আর পড়া হয়নি। বিয়ের পরে অঞ্জনা বসু পাটনা চলে গিয়েছিলেন। পরে আবারও কলকাতায় ফিরে আসেন এবং অভিনয়ে মন দেন।