``মনে হচ্ছে যেন আস্ত গ্যাস চেম্বারের ভিতর ট্রেনিং করছি``
নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে যে সব অ্যাথলিটরা রোজ ট্রেনিং করতে আসেন, ইদানিং সকাল সকাল তাঁদের মোবাইলে মেসেজ চলে আসছে। তাতে লেখা থাকছে, আজ একিউআই খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে। অবশ্যই মাস্ক পরে আসবেন। যে কোনও মুহূর্তে অস্বস্তি লাগলে ট্রেনিং ছেড়ে উঠে যেতে পারেন।
নয়াদিল্লিতে দূষণের জেরে স্টেডিয়ামে সকালের ট্রেনিং সেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। অ্যাথলিটরা মেসেজ পাচ্ছেন, বিকেলের ট্রেনিং সেশনের পরিপ্রক্ষিতে। সকালে বাতাসে দূষণের মাত্রা এতটাই খারাপ থাকছে যে ট্রেনিংয়ের প্রশ্নই নেই।
জুনিয়র অ্যাথলিট সমীক্ষা নায়ার যেমন বলছিলেন, ''মনে হচ্ছে যেন আস্ত একটা গ্যাস চেম্বারে ট্রেনিং করছি। চারপাশে শুধু ধোঁয়া। ভারি বাতাসে নিশ্বাস নিতে পর্যন্ত কষ্ট হচ্ছে। সেখানে ট্রেনিং করাটা খুব কষ্টকর।''
চিকিত্সকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতিতে ট্রেনিং করলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। এছাড়া ফুসফুে সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে। দিল্লির দূষিত পরিবেশে ট্রেনিং করলে বাড়বে হৃদরোগের ঝুঁকি।
দিল্লিতে অ্যাথলেটিক্সের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি কোচ এই মুহূর্তে অ্যাথলিটদের হালকা শারীরিক কসরত করাচ্ছেন। চিকিত্সকদের পরামর্শ মেনে কোনও ভারি ট্রেনিং অ্যাথলিটদের করানো হচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে দিল্লির থ্যাগরাজ স্টেডিয়াম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আপাতত এক সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রয়োজনে মেয়াদ বাড়তে পারে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হাতে গোণা কয়েকজন অ্যাথলিট ট্রেনিং করতে আসছিলেন।
তবে দিল্লির জওহরলাল স্টেডিয়ামে প্রচুর নামজাদা অ্যাথলিট ট্রেনিং করতে আসছেন। তাই কর্তৃপক্ষ চাইলেও স্টেডিয়াম বন্ধ করতে পারছে না। কারণ, বেশিরভাগ অ্যাথলিটেরই সামনে কোনও না কেনাও মেগাইভেন্ট রয়েছে।