নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু,`মানুষ ভালভাবে ভোট দিন`, আশ্বাস কেন্দ্রীয়বাহিনীর

Sat, 20 Feb 2021-5:01 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন : "মানুষ যাতে ভালোভাবে ভোট দিতে পারে তার জন্যই আমরা এসেছি।" ভোটমুখী বাংলায় পা রেখেই ভরসা জোগালেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। দিলেন নিরাপত্তার আশ্বাস।

ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক দুপুর ২টো বেজে ৮ মিনিট। স্পেশাল ট্রেনে করে ৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছয় চিৎপুর রেলইয়ার্ডে। এখান থেকেই এবার বাহিনী পৌঁছে যাবে বিধাননগর, বারুইপুর, ব্যারাকপুর ও ডায়মন্ড হারবারে। আধাসেনা জওয়ানদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনে পা গিয়েই বাহিনীর তরফে এক জওয়ান Zee ২৪ ঘণ্টাকে বলললেন, "আমরা নির্বাচনে জন্য এসেছি। যেটা আমাদের কর্তব্য। এখানে কোনও রাজনীতি নেই। মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে। মানুষের নিরাপত্তার জন্যই আমরা এসেছি।"

শুধু কলকাতা স্টেশনেই এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে স্পেশাল ট্রেন পৌঁছেছে এমন নয়। মোট ১২৫ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে আজ রাজ্যে আসে ১২ কোম্পানি। এদিন বর্ধমান স্টেশনে ১ কোম্পানি আধাসেনা নামে। তাদের বিবেকানন্দ কলেজে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বাঁকুড়াতেও পৌঁছেছে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আজ সকালে দুর্গাপুর স্টেশনে নেমে সড়কপথে বাসে করে বাঁকুড়ায় পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রথমে বাহিনীকে খাতড়ায় রাখার কথা থাকলেও শেষে পত্রসায়র কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। 

বীরভূমের সিউড়িতে আইটিআই কলেজেও উঠেছে ১ কোম্পানি আধাসেনা। মোট ৮০ জন জওয়ান আছেন। প্রথমে তাঁদের করোনার টিকাকরণ হবে। তারপরই প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা এরিয়া ডমিনেশন শুরু করবেন। 

অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে স্পেশাল ট্রেনে হুগলির ডানকুনি স্টেশনেও পৌঁছয় ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যারমধ্যে ১ কোম্পানি হুগলি গ্রামীণ এলাকার জন্য আরামবাগে পাঠানো হয়েছে। বাকি হাওড়া ও দুই মেদিনীপুরে মোতায়েন হবে।

এখন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমন উপলক্ষে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এল। এর থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, বাংলায় আইনের শাসন নেই। খুব খারাপ পরিস্থিতি। রাজ্য় প্রশাসন যে নিরপক্ষেভাবে ভোট করতে পারে না, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। নির্বাচন কমিশন বুঝেছেন বলেই পাঠিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেখে আসছি যে, রাজ্য পুলিসের কাজ হচ্ছে রাজ্যের নেতাদের নিরাপত্তা দেওয়া। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ হচ্ছে, বিজেপির নেতাদের নিরাপত্তা দেওয়া। এবার ভোটের আগে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এল, নির্বাচন কমিশনকে বলব, মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুন। মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে।"

অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ‍্য কমিটির সদস্য ও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী তোপ দাগেন, "বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে রাজ‍্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে ধমক চমক দিতে চাইছে বিজেপি।" 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link