হাই প্রোফাইল সপ্তম দফা, একনজরে তারকা প্রার্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদন- হাই প্রোফাইল সপ্তম দফা, রাজ্যের ৫ জেলার ৩৪ আসনে নির্বাচন। কলকাতার ৪টি, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬টি, পশ্চিম বর্ধমানের ৯টি, মালদহের ৬টি ও মুর্শিদাবাদের ৯টি আসনে ভোট। সপ্তম দফায় ভোটে লড়ছেন রাজ্যের ৪ মন্ত্রী। সবার চোথ ভবানীপুরে।
কেন্দ্র ভবানীপুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে তৃণমূল কংগ্রেস এবার প্রার্থী করেছে দলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। ১৯৯৮ সালে উপনির্বাচনে রাসবিহারী থেকে জেতেন রাজ্যের বিদায়ী বিদ্যুৎমন্ত্রী। তার পর থেকে সেখানকারই বিধায়ক তিনি। কিন্তু এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হওয়ায় সেখানে তাঁকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের নির্বাচনে তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপি-র রুদ্রনীল ঘোষ। একসময়ে বাম রাজনীতি, পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ তিনি। নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তিনি এবারের ভোট ময়দানে।
কেন্দ্র কলকাতা বন্দর। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ২০০৯ সালে আলিপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে প্রথম বার বিধায়ক হযন ফিরহাদ। এরপর ২০১১ ও ২০১৬ সালে কলকাতা বন্দর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেছেন। এ বারেও সেখান থেকেই প্রার্থী তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে রাকেশ সিংকে।
কেন্দ্র বালিগঞ্জ। এবছর নির্বাচনে দাঁড়ানোর ৫০ বছর পূর্ণ করছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ১৯৭১ সালে কলকাতার বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। ৫০ বছর পরে ফের সেই কেন্দ্রেই প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এর আগে সুব্রত বালিগঞ্জ ছাড়াও জোড়াবাগান এবং চৌরঙ্গি থেকেও বিধায়ক হয়েছেন। বালিগঞ্জে এবার সিপিআইএম প্রার্থী রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আবদুল হালিমের ছেলে ফুয়াদ হালিম। পেশায় চিকিৎসক ফুয়াদ এর আগে দু’বার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন। করোনা আবহে সপ্তমবারের জন্য প্লাজমা দিয়ে এরমধ্যেই নেটমাধঅয়মে অকুণ্ঠ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
কেন্দ্র রাসবিহারী। কলকাতায় ৪ বারের কাউন্সিলর তথা মেয়র পরিষদ দেবাশিস কুমারকে এ বার রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এ বারই প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তিনি। রাসবিহারীতে বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রাক্তন সেনা আধিকারিক সুব্রত সাহাকে। ৪০ বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন সুব্রত।
কেন্দ্র আসানসোল দক্ষিণ। নজরকাড়া এই কেন্দ্রে যুযুধান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিনেতা সায়নী ঘোষ ও ফ্যাশন ডিজাইনার থেকে বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পল। নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে টুইট যুদ্ধে নেমেছিলেন সায়নী। তারপরেই তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল।
কেন্দ্র আসানসোল উত্তর। এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। ২০১১ থেকে আসানসোল উত্তরেরই বিধায়ক মলয়। এ বার তৃতীয় বারের জন্য লড়ছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি এবার প্রার্থী করেছে কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়।
কেন্দ্র পাণ্ডবেশ্বর। বিতর্কিত এই কেন্দ্র থেকেই এবারও প্রার্থী হয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে তৃণমূল নয়, তিনি প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি-র টিকিটে। নির্বাচনের আগে বারবার তাঁকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কার্যত তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরে পিংপং খেলতে খেলতে দলবদল করেছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
কেন্দ্র বালুরঘাট। বিজেপি প্রার্থী অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ীও এ বার প্রথম বার রাজনীতির ময়দানে। প্রথমে আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হয়ে যায়। পরে দলীয় কোন্দল সামলাতে কেন্দ্র বদল করে তাঁকে বালুরঘাটের প্রার্থী করে বিজেপি।