Rachana Banerjee: ঠিক যেন চাল-ডাল-আলু! গ্যালন নয়, কুইন্টাল-কুইন্টাল DVC-র জলে বন্যার ওজন মাপলেন রচনা...
বিধান সরকার: বলাগড়ের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাঁদরা মিলনগর, চর, খয়রামারি -সহ ভাঙন ও বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন সাংসদ। ডিভিসির জল ছাড়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রচনা বলেন, 'যেটা হয়েছে খুব খারাপ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে বিষয়ে বলেছেন সে বিষয়ে আমি কিছু বলবো না। উনি আমাদের গুরুজন।'
'সাধারণ মানুষ এমন সমস্যার মধ্যে পড়েছেন না জানা অবস্থায় কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে। মানুষের বাড়ি ঘর কিচ্ছু নেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে। আর ওনারা বলছে, জানিয়ে পাঠিয়েছেন। সত্যিটা কি আমাদের এই মুহূর্তে জানা নেই। বলাগড়ে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে মাস্টার প্ল্যানের কথা বলতে গিয়ে সাংসদ বলেন,ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হয়েছে। কেন্দ্র করেনি মুখ্যমন্ত্রী করে দিয়েছেন।'
আর তৃণমূল সাংসদের এই বক্তব্যকেই কটাক্ষ করে বিজেপি। হুগলি জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উচিত হুগলির সাংসদকে মিউজিয়ামে রাখা। সাংসদ বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছাড়ছে।
জল কুইন্টালে কবে থেকে মাপা হয়। আমরা তো জানি কিউসেকে মাপা হয়। বলছে ঘাটালে মাস্টার প্ল্যান করে দিয়েছে দিদি। ঘাটালে মাস্টার প্ল্যান করে দিলে দেব লাইফ জ্যাকেট পরে সাঁতার কাটতেন না। নূন্যতম জ্ঞান নেই তাই ভুলভাল বকছে। কপালে দুঃখ সাধারণ মানুষের।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে সিঙ্গুরের গরুর দুধ থেকে তৈরী দই কেন ভালো তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। রাইস মিলের চিমনির ধোঁয়ায় শিল্প দেখেছিলেন। যা নিয়ে বিস্তর মিম ছড়িয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। তা নিয়ে অবশ্য সাংসদ বলেছিলেন, মিম তাঁর ভালোই লাগে।
বিজেপির এক নেতার কথায় মিম তৈরীর রসদ উনি নিজেই দেন যারা মিম করে তাদের দোষ কি।
এদিনই বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে ওলকচু কিনলেন সাংসদ। আর তার জেরেই প্রবল কটাক্ষের মুখে অভিনেত্রী।