৫ ডিসেম্বর থেকে বেসুরো, ২২ জানুয়ারি ইস্তফা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেড় মাসের `বিক্ষোভ-পর্ব`
প্রায় মাস দেড়েক ধরে তিনি বেসুরো। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শেষমেশ মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন। তবে তিনি জানিয়ে গেলেন, অনেক ক্ষোভ, অভিমান, কষ্ট নিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন তিনি। শেষবেলায় আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। তাঁর বিক্ষোভ-পর্ব পর্যায়ক্রমে দেখে নিন-
৫ ডিসেম্বর
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘স্তাবকতা করতে পারলে নম্বর বেশি। ভালকে খারাপ, খারাপকে ভাল বলতে পারি না তাই আমার নম্বর কম। অন্যদের বেশি’।
৭ ডিসেম্বর
বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে কাজের মানুষ কাছের মানুষ পোস্টার।
১০ ডিসেম্বর কামারপুকুরের সভায় বনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘যত মত, তত পথ’।
১৩ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রাজীব। আলোচনার পর বলেছিলেন, ‘ক্ষোভ থাকতেই পারে। তা বলে আমার সঙ্গে কাউকে জড়াবেন না’
১৪ ডিসেম্বর ডোমজুড়ের পাকুড়িয়ায় রাজীব, ‘এখনও আমি তৃণমূলের একজন কর্মী’।
২৩ ডিসেম্বর বিধানসভায় বুধবার পুষ্প প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ‘স্পিকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিধানসভার সদস্য। প্রকৃতি ভালবাসি। এসেছি।’ বলেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩ জানুয়ারি, বালি-
‘বেশ কিছু নেতা দলের কর্মীদের চাকর বাকর ভেবে তাঁদের ভাবাবেগ নিয়ে খেলেন। এঁদের জবাব কর্মীরাই দেবেন। কর্মীরাই ওই সব নেতাকে ক্ষমতাচ্যুত করবেন।’ বলেছিলেন বনমন্ত্রী।
৫ জানুয়ারি- মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
৬ জানুয়ারি
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন ফিরহাদ হাকিমের।
১১ জানুয়ারি
১৬ জানুয়ারি ‘ফেসবুক’ লাইভ করবেন, ঘোষণা করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৬ জানুয়ারি ফেসবুকে যা বলেছিলেন-
‘দলের কর্মীরা শুধু সম্মান চায়। কেউ বলতে পারবেন না, দলের কর্মীরা আমার থেকে অসম্মান পেয়েছে। আমার দলনেত্রীও এই একই কথা বলেন। কিন্তু কখনও দেখা যায় সেই কথা রাখা হয় না। কাজ করতে গিয়ে বাধা পেয়ে মুখ খুলেছি, সেটাকে অন্যায় মনে করি না।’
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক লাইভের পরই জল্পনা বাড়ছিল। শেষমেশ জল্পনাই সত্যি হল। আজ, ২২ জানুয়ারি, ২০২১ মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।