মন্দারমণিতে তিমি! কীভাবে মৃত্যু বিশালকার `প্রশান্তমহাসাগরীয়` তিমির? জানালেন বিশেষজ্ঞরা
অধীর রায় : মন্দারমনিতে তিমি! না কোনও গাঁজাখুরি গল্প নয়। বাস্তব। মন্দারমণির সমুদ্রসৈকতে ক্যামেরাবন্দি হল তিমি।
লম্বায় প্রায় ৩৫ ফিট, চওড়ায় ১০ ফিট! বিশালাকার একটি মৃত তিমির দেখা মিলল মন্দারমণিতে ।
এটি হাম্পব্যাক প্রজাতির তিমি বলে জানা গিয়েছে। খানিকটা ব্যাঙাচির মতো দেখতে তিমিটি।
৩৫ ফিট লম্বা, ১০ ফিট চওড়া হাম্পব্যাক প্রজাতির বিশালাকার তিমিটি ওজনে প্রায় দেড় টন।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন ধরনের তিমি এর আগে কখনও উপকূলে দেখা যায়নি।
এমনকি তাঁদের মতে, এই ধরনে তিমি বঙ্গোপসাগরেও সচরাচর দেখা যায় না ।
সাধারণত প্রশান্ত মহাসাগরে এই ধরনের তিমির দেখা মেলে। এখন মন্দারমণিতে সেই তিমি কীভাবে এল? সেটাই বিস্ময়!
দিঘার জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়র তরফে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, খাদ্যাভাবেই হয়তো উপরের দিকে উঠে এসেছে তিমিটি।
পাশাপাশি, ট্রলার, জাহাজ তেমন না চলায় সমুদ্র এখন দূষণমুক্ত।
এছাড়া গভীর সমুদ্রে ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগও তিমির উপরে উঠে আসার কারণ হয়ে থাকতে পারে।
সমুদ্রের গভীরে ভূতাত্ত্বিক প্লেটের কম্পনের ফলেও তিমিটি উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে দিঘা সায়েন্স সেন্টার।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে দিঘা মোহনার সৈকতে মৃত নীল তিমি এসে ঠেকেছিল।
জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দিঘা শাখা তার কঙ্কাল সংরক্ষণ করেছে।
এটিও সংরক্ষণ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এর আগে ১৯৯৬ সালে একবার একটি বড় মাপের তিমি উঠেছিল মন্দারমণিতে।