Ramadan 2024: রোজা চলাকালীন এই মেডিক্যাল টেস্টগুলি করাবেন না যেন! পুণ্যের দফারফা...
রমজান চলছে। টানা ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উপবাসে থাকেছেন মুসলিমরা। ভোর চারটে নাগাদ খেয়ে রোজা শুরু করে একেবারে সন্ধে ছটা নাগাদ ফের খাওয়া। কিন্তু এই রমজানের সময় সমস্যায় পড়েন অসুস্থরা। কীভাবে ওসুধ খাবেন, কোনও টেস্ট করাবেন কিনা তা নিয়ে সমস্যায় পড়ে যান রোজাদাররা। অর্থাত্ কী টেস্ট করাবেন, কী করাবেন না তা জানেন না বহু মুসলিম। এর একটা সমাধান দিয়েছেন বাংলাদেশের মুফতি রফিকুল ইসলাম আশরাফি।
বাংলাদেশের এক সাংবাদ মাধ্যমে মুফতি রফিকুল ইসলাম আশরফি লিখেছেন, কোন কোন পরীক্ষা করলে রোজে ভেঙে যাবে বা নষ্ট হয়ে যাবে। আজকের চিকিত্সা বিজ্ঞান অনেকটাই পরীক্ষা নির্ভর। তাই তিনি জানিয়েছেন কী কী পরীক্ষা করলে রোজ ভাঙবে, কী করলে রোজা ভাঙবে না।
ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন, টিকা নিলে রোজা ভাঙবে না। হার্টে কোনও ব্লক খুঁজে বের করতে করতে হয় অ্যাঞ্জিওগ্রাম। হাত বা পায়ের শিরা কেটে ক্যাথেটার প্রবেশ করিয়ে নির্ণয় করা হয়। এক্ষেত্রে কোনও ওষুধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক তাতে রোজা ভাঙবে না। এমনটাই দাবি মুফতি রফিকুল ইসলাম আশরাফির। গলায় নল ঢুকিয়ে পাকস্থলির বিভিন্ন সমস্যা ক্যামেরার মাধ্যমে দেখে নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে ওই টিউবে যদি ওষুধ বা জল ব্যবহার করা হয় তাহলে রোজা ভাঙবে।
পেটে একাধিক ছোট ছোট ফুটে করে ভেতরে ক্যামেরা ঢুকিয়ে অপারেশনের করার জায়গা দেখে নেওয়া হয়। পরে অন্য যন্ত্রের সাহায্যে অপারেশন করে তা বের করে নেওয়া হয়। গলস্টোন বা অন্যান্য অপারেশনের ক্ষেত্রে আজকাল ওপেন না করে বা পেট না কেটে এই ধরনের অপারেশন করা হয়। এক্ষেত্রে ওই নলে কোনও কোনও ওষুধ ব্যবহার করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। মূত্রনালীতে কোনও ক্যাথেটার ব্যবহার করে সিস্টোস্কোপি করা হলে রোজা ভাঙবে না। ইউএসটি করার সময়ে যদি জল খেতে না হয় তাহলে রোজা ভাঙবে না।
শুধুমাত্র অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙবে না। অক্সিজেনের সঙ্গে কোনও ওষুধ মেশানো থাকলে রোজা ভাঙবে। রক্ত দিলে রোজা ভাঙবে না। রক্ত নিলে রোজা ভাঙবে না। চোখে ওষুধ দিলে, সুরমা নিলে রোজ ভাঙবে না যদি না সেই ওষুদের স্বাদ আপনি গলার মধ্যে পান। স্যালাইন নিলে রোজ ভাঙবে না। তবে খাবার হিসেবে যদি স্যালাইন দেওয়া হয় তাহলে রোজা মকরূহ হবে।
দাঁত তুললে রোজ ভাঙবে না। টুই পেস্ট ব্যবহার করলে রোজা ভাঙবে না তাবে রোজা মকরূহু হয়ে যাবে। ইনহেলার নিয়ে মুখে ও গলায় ওষুধ চলে যায়। এতে রোজা ভাঙবে।
হার্টের সমস্যার কারণে বা যন্ত্রণা হলে অনেকে জিহ্বার নীচে নাইট্রোগ্লিসারিন নেন যাকে আমরা সাধারণভাবে সরবিট্রেট বলে চিনি। এই ওযুধ নিলে তা গলায় প্রবেশ করার সম্ভাবনা বেশি। গলায় এই ওষুধ গেলে রেজা ভেঙে যাবে।
পাইলস. ফিসচুলা, অর্শ-সহ বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য মলদ্বার দিয়ে একটি নল প্রবেশ করানো হয়। এক্ষেত্রে নলে এক ধরনের লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে হয়। এতে রোজা ভেঙে যাবে। জন্ম নিয়ন্ত্রণে কপার টি ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। জরায়ু থেকে টিস্যুর স্যাম্পল নেওয়া হলে রোজা ভেঙে যাবে।