Corona রোগী বাড়ার কারণ কী New Strain? কী বলছে কেন্দ্র
নিজস্ব প্রতিবেদন: নতুন স্ট্রেন করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী, তা মানতে নারাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এখনই তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। প্রাথমমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে গা ছাড়া ভাব দিয়েছিল জনসাধারণ তার জন্যই করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে মনে মনে করেছেন বিশিষ্ট মহলের একাংশ। অন্যদিকে, করোনার নতুন স্ট্রেনর প্রভাব পড়েছে মহারাষ্ট্রে। যার জেরে সে রাজ্যে প্রায় ৮১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
নতুন করোনা স্ট্রেনের প্রকোপ। যা আরও ভয়ঙ্কর বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন শরীরে অ্যান্টিবডি থাকলেও কাজ কোনও লাভ হবে না। মহারাষ্ট্রে এই নতুন স্ট্রেনের দেখা মিলেছে। ভ্যাকসিন আসাতে করোনা ভাইরাসের দাপট যে নাগালে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে তা ভাবলে ভুল করবেন, বলেছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এর প্রধান রণদীপ গুলেরিয়ার। কিন্তু এই স্ট্রেন যে সারা দেশে তার দাপট দেখাচ্ছে, এখনই এমনটা মনে করছে না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
পুনরায় করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির কারণ ঠিক কী, তা নিয়ে শুরু হয়েছে পর্যালোচনা। স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে এই গোটা বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী।
মহারাষ্ট্র ও কেরলের রোনা সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এর পাশাপাশি বাড়তে থাকে পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ় ও জম্মু-কাশ্মীরেও। শুধু তাই নয়, আরও একাধিক রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের হার।
বিদেশি স্ট্রেনের মধ্যে ‘এন৪৪০কে’ এবং ‘ই৪৮৪কিউ’-কে নজরে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর তরফে জানানো হয়েছে, এখনই এই স্ট্রেনের সঙ্গে করোনা বৃদ্ধির হারের কোনও সম্পর্ক আছে কিনা, তা খোঁজ করার জন্য ভাইরাসের জিনের সিকোয়েন্স করে দেখা হচ্ছে। কিন্তু এখনই কিছু প্রমাণ মেলেনি।
প্রসঙ্গত, পরিস্থিতিকে নাগালে রাখতে ৫ রাজ্যকে সতর্ক থাকতে করোনার বিরুদ্ধে লড়তে ভ্যাকসিন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করতে জোর দিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।