ছোটবেলায় বাবাকে হারান, একা লড়াই চালিয়ে Hanuma’র স্বপ্ন পূরণ করেন মা বিজয়লক্ষ্মী
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে সিডনিতে পঞ্চম দিনে সাড়ে তিন ঘণ্টা ব্যাটিং করেন বিহারী। ১৬১ বল খেলে ২৩ রান করেন। এমন ইনিংসকে সেঞ্চুরির থেকেও এগিয়ে রাখছেন সিডনিতে তাঁর সঙ্গে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করা রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বিহারীর এই ইনিংস পাঁচিল না তুললে অজিদের আক্রমণের ঢেউ ভারতীয় দূর্গ ভাসিয়ে নিয়ে যেত।
মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবা সত্যনারায়ণকে হারান হনুমা বিহারী। সংসারের হাল ধরেন হনুমার মা বিজয়লক্ষ্মী। বাবার অকাল প্রয়াণে ছেলের ক্রিকেট খেলায় যাতে কোনও বাধা না থাকে সেদিকে সতর্ক ছিলেন তিনি।
স্বামীর মৃত্যুর পর অফিস থেকে যে সামান্য টাকা পেয়েছিলেন হনুমার মা, তাই দিয়ে ছেলেকে ক্রিকেট অনুশীলনের পিচ তৈরি করে দিয়েছিলেন বিজয়লক্ষ্মী।
হায়দরাবাদে মেয়েদের একটি জামাকাপড়ের দোকান চালান হনুমার মা বিজয়লক্ষ্মী। ছেলের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে একাই চালিয়ে যান তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০১০ সালে অভিষেক হয় হনুমা বিহারীর। তিন বছর পর আইপিএলে সুযোগ পান। ২০১২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
২০১৮ সালে ভারতীয় দলে অভিষেক হয় হনুমা বিহারীর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয় তাঁর। ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনও সুযোগ পাননি ২৪ বছর বয়সী হনুমা।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে একেবারেই ফর্মে ছিলেন না হনুমা বিহারী। তবে সিডনিতে হয়তো জীবনের সেরা ইনিংস খেললেন তিনি।
আজকের এই সাফল্যের কৃতিত্ব মা বিজয়লক্ষ্মীকেই দিচ্ছেন হনুমা বিহারী।