নির্বাচন কাছে আসলে মনে হল, দেশে যুদ্ধ বাঁধানো দরকার: মমতা, ১০টি পয়েন্টে

Mon, 18 Feb 2019-7:34 pm,

১৯০৫ সালে বঙ্গ ভঙ্গ রদে রাখীবন্ধন করে সেতুবন্ধন করেছিলেন। বাংলায় সম্প্রীতির পরম্পরা চিরকালীন। প্রত্যেকেই ঘটনার নিন্দা করেছি। একটা কথাও সরকারের বিরুদ্ধে বলিনি। সবাই একসঙ্গে লড়াই লড়ব। দেশের মাটিকে রক্ষা করতে হবে। 

আমরা কারও কাছে দেশপ্রেম শিখব না। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রবণতা শুরু হয়েছে। সাংবাদিককে দেশদ্রোহী বলে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে সাংবাদিকদের উপরে আক্রমণ করা হয়েছে। 

বাংলায় এত শান্তিপ্রিয় জায়গা। গত দুদিন ধরে রাত ১২-১টায় জাতীয় পতাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে আরএসএস, ভিএইচপি ও বিজেপি। এগুলি সাম্প্রদায়িক সংগঠন। রাতে আতঙ্ক তৈরি করছে। বেহালা, বনগাঁয় এমন কিছু ঘটেছে। শ্রীরামপুরে একটি জলসায় হামলা করা হয়েছে। 

আরএসএসের বহিরাগতরা এই সুযোগে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খৃষ্ট্রান দাঙ্গা লাগিয়ে দিচ্ছে। মাসখানেক মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা বলেছিল, নির্বাচনের আগে ভারতে দাঙ্গা লাগানো হতে পারে। সবাইকে সতর্ক করেছিল। আমরা দেখতে পাচ্ছি, একটা ঘটনা ঘটেছে, দোষীদের শাস্তি চাই, কিন্তু দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চলছে।

এর পিছনে অবহেলা, গাফিলতি রয়েছে। কেন একসঙ্গে ৭৮টা কনভয় অনুমোদন দেওয়া হল? যখন সরকারের কাছে আগে থেকে খবর ছিল, কেন অব্যবস্থা? আমাদের কাছে কাগজ আছে। আমার সব ফোন ট্যাপ করে। মোদী-অমিত শাহ রোজ ভাষণ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। মনে হচ্ছে, ওরাই দেশপ্রেমিক, বাকিরা নয়। দেশের যে কোনও প্রান্তে নাগরিকদের থাকার অধিকার রয়েছে। 

সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও জওয়ানদের কেন এয়ারলিফ্ট করা হয়নি? ট্রেনেও বা কেন পাঠানো হয়নি। আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এমন অনেক কিছু করেছিলাম। এসব আমি জানি। 

প্ররোচনা দিয়ে দাঙ্গা লাগাবার চেষ্টা চলছে। এটা ওদের গেমপ্ল্যান। আমরা যেন নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি না করি। আরএসএসের লোকেরা, বোরখা কিনছে, আর বলছে, বাচ্চা চুরি করছে। কলকাতায় একটা জায়গায় এভাবে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে।

এই সুযোগে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করলে দেশ ছাড়বে না। বনগাঁয় গিয়ে একজনের বাড়িতে হামলা করেছে। পুলিস নাকি কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুলিসকে নির্দেশ দিচ্ছি, ডিসি, এসপি, ডিজি থেকে কনস্টেবল, দাঙ্গায় মদত দেওয়া যাবে না। দাঙ্গা চোখে দেখেও চুপচাপ থাকা যাবে না। এসব সহ্য করব না। কঠিন পদক্ষেপ নিন। দাঙ্গা রুখবই। 

পাকপ্রেমী যারা দেশে লুকিয়ে আছে বলে বার্তা দিচ্ছে এক বিজেপি নেতা। বিজেপি আরএসএস, ভিএইচপি ছাড়া বাকি সব পাকপ্রেমী! তুমি তাহলে কী পদক্ষেপ নিয়েছ? নির্বাচনে কাছে আসলে মনে হল, দেশে যুদ্ধ বাধানো দরকার। ছায়াযুদ্ধ করা দরকার। 

দায়িত্ব পালন না করে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। কারও প্রতি অবিচার করা চলবে না। সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম বা জাত নেই। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। আমরা দেশকে ভালবাসি। আত্মত্যাগেও রাজি। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link