সিপিএমে হাতেখড়ি, তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে, কীভাবে `বাহুবলী` হয়ে উঠলেন মণীশ?
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাগে, ক্ষোভে, জ্বলছে টিটাগড়। মণীশ শুক্লার হত্যাকাণ্ড নিয়ে রীতিমত উত্তপ্ত টিটাগড়-বারাকপুর। গোটা এলাকা থেকে সংগ্রহ চলছে সিসিটিভি ফুটেজ।
কে এই মণীশ শুক্লা? কেন এত হইচই? কেনই বা পেশাদার খুনি নিয়ে এসে খুন করা হল এই ব্যক্তিকে?
রাজনৈতিক মহল জানাচ্ছে ইনি অর্জুন সিংয়ের 'ডান হাত'। ব্যারাকপুরের বিজেপি স্ট্রংম্যান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে কখনও বড় মস্থান বা কখনও প্রভাবশালী ব্যক্তি বা কখনও গণ্যমান্য মণীশ।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিতে মণীশ শুক্লার দর দীর্ঘদিনের। ইনি খড়দহের বাসিন্দা।
বাম জমানার শেষ দিকে তড়িৎ তোপদারের হাত ধরে রাজনীতিতে হাতে খড়ি। ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজেক ছাত্র সংসদের নির্বাচনে যুবনেতা হিসাবে পরিচিতি হয় মণীশের।
এরপরই, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা হিসাবে গোটা শিল্পাঞ্চলেই তিনি পরিচিতি গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে ভাটপাড়ার তখনকার তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত হন। এরপর অর্জুনের সঙ্গে পদ্মশিবিরে যোগ দেন মণীশ।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ টিটাগড় থানার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন মণীশ শুক্লা। মোটর সাইকেলে চেপে আসা চার আততায়ী খুব কাছ থেকে একের পর এক গুলি করে মণীশকে লক্ষ্য করে। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।