Sukanta Majumdar: বালুরঘাটের ‘বুবুন’ আজ রাজ্য BJP-র বড় পদে, একনজরে নয়া সভাপতি সুকান্ত মজুমদার
নিজস্ব প্রতিবেদন: গুঞ্জন অনেক দিন ধরেই ছিল। অবশেষে সোমবার রাজ্য বিজেপি সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দিল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর জায়গায় নয়া রাজ্য সভাপতি হলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে যাঁর নাম রাজ্যবাসী তো দূর অস্ত বিজেপিরই হাতে গোনা কয়েকজন নেতা হয়ত জানতেন। সাংসদ হওয়ার পর অনেকে তাঁর নাম জানলেও, ছিল না তেমন কোনও তথ্য।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা সুকান্ত মজুমদার। বাবা পেশায় সরকারি কর্মী ছিলেন। ছোট থেকেই মেধাবি ছাত্র ছিলেন সুকান্ত। তেমন একটা কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। বাড়ির নাম বুবুন। খেতে ভালবাসেন ঘরোয়া খাবার।
বর্তমানে পরিবারে রয়েছেন বাবা-মা, স্ত্রী এবং দুই মেয়ে।
বালুরঘাটেই বেড়ে ওঠা। পড়াশোনাও সেখানেই। সায়েন্স নিয়ে হাইস্কুল পাশ। এরপর বোটানিতে (Botany) স্নাতকোত্তর পাশ। এরপর গবেষণা।
মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এছাড়া রাজনৈতিক এবং সামাজিক কাজ করতেন।
ক্লাস এইট থেকেই RSS-এর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় সুকান্তর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্পর্ক আরও পোক্ত হয়। ধীরে ধীরে সংঘের শীর্ষ নেতৃত্বের চোখে পড়েন তিনি। প্রথমে ‘শাখা কার্যবহ’. এরপর ‘জেলা সম্পর্ক প্রমুখ’-এর দায়িত্ব পান। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বালুরঘাট থেকে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। প্রতিপক্ষ ছিলেন তুলনায় অনেক বেশি পরিচিত মুখ তথা নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ। কথাকথিত আনকোরা এহেন সুকান্তর কাছেই হেরে যান তিনি। সংসদে মোদী-শাহের সুনজরে ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্তর সাংগঠনিক দক্ষতাকে জাতীয় ক্ষেত্রে কাজে লাগায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে। সিকিমের পর্যবেক্ষক করা হয় তাঁকে। উত্তরবঙ্গেরও কো-কনভেনর ছিলেন তিনি।
সংসদের রিপোর্ট কার্ডেও মেধাবি সুকান্ত পেয়েছেন স্টার মার্কস। লোকসভায় উপস্থিতির হার ৯৮.৪ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত লোকসভার ৩০০টি প্রশ্ন করেছেন। যা এই রাজ্যের সংসদদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গোটা দেশের মধ্যে পঞ্চম। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কেও অংশগ্রহণ করেছেন।