Jagannath`s Ratna Bhandar: প্রায় ৫০ বছর পরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার খুলে চক্ষু চড়কগাছ...
সে না হয় হল। কিন্তু কেন এতদিন বাদে খোলা হল জগন্নাথমন্দিরের রত্নভাণ্ডার? সে কথা প্রশ্ন গোটা দেশের প্রশ্ন। সকলেই জানতে চাইছে, কেন এখনই? কোনও বিশেষ কারণ আছে?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৮ সালে জগন্নাথমন্দিরের রত্নভাণ্ডার খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি ও এএসআই-র স্থাপত্যবিদরা মন্দিরের কুঠুরিতে ঢুকেছিলেন। কিন্তু চাবি না থাকায়, দরজা খোলা যায়নি। দরজার গোড়া থেকেই ফিরে আসেন তাঁরা। ফলে, রত্নভাণ্ডারের ভিতরে কী রয়েছে, সে-রহস্যের সবটা সে সময়ে উদঘাটন সম্ভব হয়নি।
তবে, এবার পর পর দুদিন ধরে খোলা গেল জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডার। এবং তাতে যা জানা গেল, তাতে চোখ কপালে ওঠার মতো। এই ভাণ্ডারে আছে মোট ১২,৮৩১ ভরি সোনা, ২২,১৫৩ ভরি রুপো। জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডারে রয়েছে মোট ৪৫৪ টি সোনার গয়না, মোট ২৯৩ টি রুপোর গয়না।
কেন সেই রত্নভাণ্ডার খোলা যায়নি? কারণ হিসেবে বলা হয়, জগন্নাথদেবের সম্পত্তির পাহারায় রয়েছেন নাকি স্বয়ং নাগরাজ। তিনি ছাড়াও সেই ভাণ্ডারে বিষধর সাপ কিলবিল করে! মণিমুক্তোয় হাত ছোঁয়ালেই ছোবল! সত্যি?
এসবের কারণেই সাপুড়ে রাখা হয়েছিল। তবে না, নাগরাজ তো দূরের কথা, এবার কোনও সাপের দেখাই মেলেনি।
কিন্তু এত বাধা পেরিয়ে কেন খোলা হল রত্নভাণ্ডার? পুরীর মন্দিরের তরফে জানা গিয়েছে, রত্নভাণ্ডারের একটি চেম্বার থেকে রত্নসামগ্রী নিয়ে স্ট্রং রুমে রাখা হবে। এবং স্টকও মিলিয়ে নেওয়া হবে। এই স্ট্রং রুমও সাময়িক। পরে এদের স্থায়ী ঠিকানা হবে। আপাতত এটুকুই করা হল। সুপারভাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথ সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন।