Women’s Equality Day: মেয়েরা যতটা উন্নতি করবে, সমাজও ঠিক ততটুকুই উন্নতি করবে, বলেছিলেন Ambedkar
আজ, এই ২৬ অগস্ট দিনটি সারা পৃথিবীতে মেয়েদের অধিকারপ্রতিষ্ঠার দিন হিসেবে স্বীকৃত। মেয়েদের সমানাধিকার, সাফল্য, জীবনের চলার পথে তাঁদের অর্জনের স্বীকৃতির দিন এই women's Equality Day। তালিবান-অধিকৃত আফগানিস্তানে মেয়েদের অধিকার খর্ব হওয়ার এই লগ্নে এ বছরের এই দিনটি যেন ভিন্ন তাত্পর্য পেয়ে গেল।
আসলে যতই কেন বিশ্ব জুড়ে মেয়েদের অধিকারের কথা বলা হোক না কেন, এর সমান তালে মেয়েদের বঞ্চনার ইতিহাসটাও গড়িয়ে চলে। সেটাকে রুখতে হবে। সেই রোখার সঙ্কল্প গ্রহণের দিন আজ।
অনেক দেশই মেয়েদের অধিকারের কথা ভেবেছে। তবে আজকের দিনটি মার্কিন প্রশাসনের দান। United States তাদের সংবিধানের ১৯তম সংশোধনে তাদের দেশের মেয়েদের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করে। আরর তার পর থেকেই United States Congress এই ২৬ অগস্ট তারিখে Women's Equality Day পালন করা শুরু করে।
মোটামুটি ১৮৪৮ সালে মেয়েরা বিশ্বে প্রথম তাঁদের অধিকারের সপক্ষে আন্দোলন করেন। সামাজিক বৈষম্য, লিঙ্গবৈষম্যের প্রতিবাদে আমেরিকান মেয়েরা নিউ ইয়র্কে এক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সামিল হন। এর অনেক অনেক পরে ১৯৭১ সালে United States Congress 'strike for equality' নামে একটি বিল পেশ করে। এবং এমন একটি দিনের ভাবনাও ভাবা হয় যেটি পুরোপুরি মেয়েদের অধিকাররক্ষার কথা ভেবে উদযাপিত হবে। সেই দিনটিই আজকের Women’s Equality Day। তবে দিনটি তখনই ঠিক হয়নি।
দুবছর পরে ১৯৭৩ সালে প্রেসিডেন্ট Richard Nixon ২৬ অগাস্ট দিনটিকে Women's Equality Day হিসেবে ঘোষণা করেন।
এই দিনটি মেয়েদের লড়াইকে সম্মান দেয়। মেয়েদের সাফল্যকে উদযাপন করে। আজও যে দেশের যে সমাজে মেয়েদের পিছন টেনে ধরে তাদের সেই সংস্কার থেকে মুক্ত করার কথা বলে। সমস্ত অসাম্য অবিচার, লিঙ্গবৈষম্যের সমাপ্তির কথা বলে দিনটি।
হালের মালালা ইউসুফজাই একটি দারুণ কথা বলেছেন, যখন ভগবান নর ও নারী সৃষ্টি করেছিলেন তখন তিনি ভাবছিলেন, কাকে আমি পরবর্তী প্রজন্ম সৃজনের সেই বিশেষ শক্তি দেব? ভগবান মেয়েদেরই সেই কাজের জন্য বেছে নিলেন। আর এটাই জানায়, মেয়েরা শক্তিশালী। আর বহু আগে বি আর অম্বেডকর বলেছিলেন, একটা সমাজে মেয়েরা কতটা এগিয়েছে, সেটা দিয়েই একটি সমাজের অগ্রগতির পরিমাপ করি আমি!