World Music Day: বাংলার সঙ্গীতস্রোতে যেন এসে মিশেছিল বিশ্বসঙ্গীতের ধারা
যেমন রামনিধি গুপ্ত। তাঁর হাতেই বাংলা কাব্যগীতির জন্ম। কুমোরটুলির মানুষ নানা জায়গায় চাকরি-বাকরি করে বেড়িয়েছেন। একসময় সব ছেড়ে দিয়ে সঙ্গীতেই নিজেকে নিবেদন করেন। তাঁর হাতে জন্ম নেয় টপ্পা। বাংলা গানের ধাঁচ ভাষায় ও ভঙ্গিতে আধুনিক হয় তাঁরই হাতে।
ঠাকুরবাড়ি ছিল আধুনিক গানের মস্ত বড় জায়গা। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধুনিক মন বাংলা গান তৈরির ক্ষেত্রে দারুণ প্রতিভার ছাপ রেখেছিলেন। যদিও পরে তাঁর কনিষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ সঙ্গীতরচনাতে উত্তুঙ্গ শিখর স্পর্শ করেছিলেন। গোটা একটা জাতির মনোভাবনা রুচি রোম্যান্টিকতা-- সব তাঁর গানে দ্যোতিত। অথচ তিনি নিছক গীতিকার নন, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ছিলেন নাট্যকার। নানা রসের সার্থক নাটক তিনি রচনা করেছিলেন। কিন্তু নাটকের প্রয়োজনে যখন তিনি গান রচনায় হাত দিলেন তখন সেটা একটা বিশেষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াল। আজ মানুষ তাঁকে গানের মধ্যে দিয়েই মূলত চেনে।
পেশায় আইনজীবী অতুলপ্রসাদ সেন সারাজীবন অত্যন্ত খ্যাতি ও যশের সঙ্গে আইন ব্যবসা করে গিয়েছেন। কিন্তু এর পাশাপাশি তিনি যে সঙ্গীত সৃষ্টি করেছেন তার কোনও তুলনাই হয় না।
ছিলেন রজনীকান্ত সেন। কবি ও গীতিকার। আজ অবশ্য তাঁর করুণ রসের গানগুলিই বাঙালিকে মুগ্ধ করে।
নজরুল ইসলাম কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অভিনেতা, সঙ্গীত পরিচালক। কিন্তু তাঁর এ হেন বিচিত্র পরিচয়মালা সম্ভবত একটি পরিচয়েই ঢাকা পড়ে গিয়েছে। সেটি হল সঙ্গীতস্রষ্টা নজরুল। নজরুলের গান বাংলার সম্পদ।