World Nature Conservation Day: এ বিশ্বকে নবজাতকের বাসযোগ্য করে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা
প্রকৃতির প্রতি যে নানা অবিচার-অত্য়াচার আমরা নিয়ত করে থাকি World Nature Conservation Day হল সেই 'পাপ'শুদ্ধির দিন। যা হয়েছে, হয়েছে; আর প্রকৃতির ক্ষতি করব না-- এই প্রতিজ্ঞাগ্রহণের দিন।
প্রতি বছর আজকের দিনে, মানে এই ২৮ জুলাই তারিখে World Nature Conservation Day পালন করা হয়। এ বিশ্বকে নবজাতকের বাসযোগ্য করে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা গ্রহণের দিন হল এই বর্ষণমুখরিত ২৮ জুলাই।
এখন আমরা যারা এ পৃথিবীতে বসবাস করছি, তারা দূষিত পরিবেশেই বসবাস করছি। পৃথিবী বহুদিন ধরেই একটু একটু করে বিনষ্ট হয়েছে। মানুষই সেই ক্ষতিসাধন করেছে। অথচ নিজেকে সে শুধরে নেয়নি। এখনও সে ক্ষতি চালিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু এখনই যদি আমরা সচেতন হই, তা হলে হয়তো অন্তত আগামি প্রজন্ম বসবাসের জন্য এখনকার তুলনায় কিছুটা কম দূষিত সুস্থ-সবুজ এক পৃথিবী পাবে। সেটুকুও যাতে করা যায় অন্তত সেই প্রতিজ্ঞাটুকু আমাদের সকলেরই গ্রহণ করা উচিত। আর আজই হোক সেই দিন।
এজন্য conservation of natural resources খুব দরকারি। যেমন, ধরা যাক গাছপালা পশুপাখি (flora and fauna) রক্ষা করা। জল অপচয় বন্ধ করা। পাশাপাশি আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার বর্জন করতে পারি। বেশি করে গাছ লাগাতে পারি। বিদ্যুত্ অপচয় থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারি।
প্রত্যেক বছরই এ দিনটির একটি থিম থাকে। দিনটির এ বছরের থিম হল-- অরণ্য এবং জীবনযাপন: মানুষ ও উদ্ভিদকে টিকিয়ে রাখা। থিমটি আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিল, সহাবস্থান বলতে ঠিক কী বুঝি আমরা। এ বিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদ টিকিয়ে রাখতে পারলে মানুষও টিকে থাকবে।
আর মানুষ টিকে থাকলেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম জুড়ে মানুষ এই পৃথিবীর গাছমাটিজলবাতাসকে উপভোগ করতে সক্ষম হবে। অর্থাত্, জীবন যাপন এমন হবে তা যেন প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ না করে।
কত মানুষ আছে, প্রকৃতির ক্ষতি ঘটছে জেনেও নিস্পৃহ হয়ে বসে থাকে। নিজের আচরণে বদল ঘটায় না। ফলে নিজের চারপাশের পরিবেশ-প্রকৃতিতেও কোনও বদল আসে না। ফলে এ দিনটি শুধু নিজের পরিবেশসম্মত আচরণ করারই দিন নয়, দিনটি আরও বিশেষ করে সেই সব শিক্ষিত কিন্তু উদাসীন মানুষদের সচেতন করারও দিন, যাঁরা পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নন।
আর এ ভাবেই আমরা ক্রমে এক সুন্দর পৃথিবী সৃজন করব। যেখানে প্রচুর সবুজ, প্রচুর স্বচ্ছ সুপেয় জল, প্রচুর তরতাজা বাতাস, অ-দূষিত মাটি।