World Oceans Day: ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে আর কেন ভেসে আসে না কোনও সংগীত?
১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরো-তে সংঘটিত রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক (UNCED) সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মহাসাগর দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৮ সালে রাষ্ট্রসংঘ এই দিবসকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়।
১৯৯২ সালে ওশনস ইনস্টিটিউট অফ কানাডা প্রথম পরিবেশ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত আর্থ সামিটে গ্লোবাল ওশন ডে উদযাপনের প্রস্তাব দেয়। এর ১৬ বছর পরে রাষ্ট্রসংঘ এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাশ করে এবং ৮ জুন দিনটিকে সমুদ্রদিবস হিসেবে নির্দিষ্ট করে। প্রতি বছরই এদিনটির একটি থিম থাকে। এ বছরের থিম-- 'প্ল্যানেট ওশন: দ্য টাইডস আর চেঞ্জিং'।
রাষ্ট্রসংঘ উল্লেখ করেছে, সমুদ্র বায়োস্ফিয়ারের বিশেষ অংশ, খাদ্য ওযুধের বিশ্বস্ত উৎস। এই বিশ্বের জীববৈচিত্রের অনেক ফ্লোরা ও ফনা সমুদ্রে নির্ভরশীল। সমুদ্র কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিবেশ-প্রকৃতিরও ক্ষতি হবে। ২০২১ থেকে ২০৩০ সাল এই দশ বছর হতে চলেছে UN Decade of Ocean Science for Sustainable Development।
এই সময়-পর্বে লক্ষ্য থাকবে সামুদ্রিক বিজ্ঞানের এমন কিছু আবিষ্কার যা, সরাসরি মানবজীবনকে সমৃদ্ধ করবে, যা প্রত্যক্ষ ভাবে মানবসমাজের উপকারে আসবে।
মহাসাগরগুলি পৃথিবীর প্রায় ৭০ শতাংশ অক্সিজেন উৎপাদন করে। সমুদ্রের নীচে এমন অনেক সামুদ্রিক প্রজাতি বাস করে যারা এই অক্সিজেনের জোগান দেয়।
পৃথিবীর মোট ৭০ শতাংশেরও বেশি অংশ জুড়ে রয়েছে মহাসাগর। মহাসমুদ্র প্রতি পদে আশ্চর্য করে। যেমন, আমরা বিস্মিত হই জেনে যে, পৃথিবীর প্রায় ৯৪ শতাংশ প্রাণী প্রজাতি বাস করে সমুদ্রের নীচে! ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার অফ মেরিন স্পিসিসের মতে, এখনও পর্যন্ত সমুদ্রের প্রায় আড়াই লাখ প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে। আমরা আরও আশ্চর্য হই যখন জানতে পারি, পৃথিবীর বৃহত্তম পর্বতমালা রয়েছে সমুদ্রের নীচে! মধ্য-মহাসাগরীয় শৈলশিরা (Mid-Ocean Ridge),যা প্রায় ৬৫,০০০ কিলোমিটারের মতো দীর্ঘ, তা জলের নীচেই!