লোকে বলে, World`s Dirtiest Man; ৬৫ বছর স্নান করেননি!
পচা মাংস খান, পশুর মল শুকনো করে পুড়িয়ে ধূমপান করেন, চুল বাড়লে পুড়িয়ে নিয়ে ছোট করে নেন। সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, তিনি দশকের পর দশক স্নান না করে আছেন! না, কোনও বাচ্চাদের গল্পের চরিত্র নয়। এই মানুষ স্বয়ং পৃথিবীতে আছেন।
নাম তাঁর আমৌ হাজি (Amou Haji)। থাকেন ইরানের (Iran) মরু-অঞ্চল সন্নিহিত গ্রামে। বয়স ৮৭ বছর। শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি ৬৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্নান করেননি!
কেন? আসলে স্নান করতে ভয় পান তিনি (terrified of water)। তাঁর আশঙ্কা, পরিচ্ছন্ন থাকলেই বরং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তাই বছরের পর বছর স্নান না করে কাটিয়ে দিচ্ছেন।
আমৌর খাদ্যাভাসও বিচিত্র। সারা দিনে পাঁচ লিটার জল খান তিনি। শজারুর মাংস (porcupine meat) তাঁর খুব পছন্দের। তবে সেটা খান পচা। নিজের মুখ দেখেন গাড়ির আয়নায়। আর চুল আগুনে পুড়িয়ে ছোট করে নেন। কাটাতে যান না আর।
একসঙ্গে পাঁচটি সিগারেট জ্বালিয়ে টান দেন। আবার পাইপেও টান দেন। তবে তামাক-ভরা পাইপ নয়। গোবর (dried cow dung) পুড়িয়ে পুরনো পাইপের মাধ্যমে টান দেন। এতেই নাকি তাঁর চরম সুখ! তিনি দাবি করেন, ধূমপানের ব্যাপারে তিনি নাকি বেশ শৌখিন কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠতে উঠতে হঠাত্ এমন সৃষ্টিছাড়া হলেন কী ভাবে আমৌ?
কমবয়সে কোনও কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন আমৌ। তার পর থেকেই এমন অদ্ভুত জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। তিনি গ্রামের বাইরে একটি গুহা মতন বানিয়ে তাতে থাকেন। সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দারা তাঁর জন্য একটা কুটির বানিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু আমৌ এতে থাকা পছন্দ করেন না। গ্রামবাসীরা বলেন, আমৌ যখন স্থির হয়ে বসে থাকেন তখন তাঁকে একেবারে মাটি বা পাথরের অংশ বলে মনে হয়। তাঁর গায়ের রং একেবারে মাটির মতো। তবে আমৌ একই জায়গায় দীর্ঘদিন থাকেন না। তিনি nomadic জীবনই যাপন করে চলেছেন।