WT20: Pakistan-এর বিরুদ্ধে Virat Kohli-র সেরা পাঁচ ইনিংস
২০১২ সালের ১৮ মার্চ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করা বিরাট কোহলি ম্যাচ উইনিং ১৮৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এটাই তাঁর একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের দেওয়া ৩৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন বর্তমান ভারত অধিনায়ক। সে দিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৩০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই গৌতম গম্ভীর শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন। সেখান থেকেই ম্যাচ বের করে টিম ইন্ডিয়া। শচীন তেন্ডুলকর ৫২ এবং রোহিত শর্মা ৬৮ রান করেছিলেন। ১৪৮ বলে ১৮৩ রান করেছিলেন বিরাট। ২২ টি চার এবং একটি ছক্কা ছিল কোহলির ইনিংসে। ১৩ বল বাকি থাকতে ভারত সেই ম্যাচ জিতে নেয়।
৩০ সেপ্টেম্বর কলম্বো স্টেডিয়ামে ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে লক্ষ্মীপতি বালাজির দাপটে মাত্র ১২৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ৩.৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন এই জোরে বোলার। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও যুবরাজ সিং ২টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। মাত্র ১২৯ রান টার্গেট হলেও সেই ম্যাচে ভারতের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি। খালি হাতে ফিরে যান গম্ভীর। ২৯ রানে আউট হন শেহওয়াগ। তবে বিপক্ষকে মাথা তুলতে দেননি বিরাট কোহলি। ৬১ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কোহলি। মেরেছিলেন ৮টি চার ও ২টি ছয়। ১৯ রানে অপরাজিত থেকে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন যুবরাজ। ফলে তিন ওভার বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ভারত।
২০১৪ সালের ২১ মার্চের সেই ম্যাচেও পাকিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয় বজায় ছিল। মীরপুরের শের ই বাংলা স্টেডিয়ামের পিচে টপ ফর্মে ছিলেন অমিত মিশ্র। ২২ রানে ২ উইকেট নিয়ে পাক ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার। ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজা একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন। ফলে ৭ উইকেটে ১৩০ রানে আটকে যায় পাকিস্তান। সেই ম্যাচটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একপেশে ছিল। প্রথমে দাপুটে বোলিং এবং পরে রান তাড়া করতে নেমে ভারতের কড়া জবাব। রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান প্রথম উইকেটে ৫৪ রান তুলে দেন। রোহিত ২৪ ও ধাওয়ান ৩০ রানে ফিরলেও পরে বাকি কাজ সারেন কোহলি। 'কিং কোহলি' ৩২ বলে ৩৬ ও সুরেশ রায়না ২৮ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ফলে ৯ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটে জিতে যায় ভারত।
২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছেন বিরাট। ২০১১ সালে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তরুণ বিরাট মাত্র ৯ রানে আউট হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে করেছিলেন ৬৫ বলে ৭৭ রান। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০১৫ বিশ্বকাপে অবশ্য পাক দলের বিরুদ্ধে শতরান করে মাঠ ছেড়েছিলেন কোহলি। ১২৬ বল খেলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট। তাঁর শতরানের সুবাদে ৭ উইকেটে ৩০০ রান তুলেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
২০১৬ সালের ১৯ মার্চের সেই ম্যাচ নিয়ে অনেক আগে থেকেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। ইডেন গার্ডেন্সের সেই ব্লকবাস্টার ম্যাচে বাধ সেধেছিল প্রবল বৃষ্টি। তবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে মাঠ খেলার মতো প্রস্তুত করেছিলেন তৎকালীন সিএবি সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৮ ওভারের সেই ম্যাচে ৫ উইকেটে ১১৮ রানে আটকে গিয়েছিল পাকিস্তান। অবশ্য জবাবে ব্যাট করতে গিয়ে ভারতও ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। মহম্মদ আমির-মহম্মদ সামি ও ওয়াহাব রিয়াজের আগুনে পেসে মাত্র ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই সময় একা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন কোহলি। পুরোনো ছন্দে না দেখা গেলেও কোহলিকে সঙ্গত দিয়ে যান যুবরাজ। শেষ পর্যন্ত পাক জোরে বোলারদের আক্রমণকে রুখে দিয়ে ৩৭ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মেরেছিলেন ৭টি চার ও ১টি ছয়। ফলে ৪ উইকেটে ১১৯ রান তুলে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত।