সুমেধা পাল


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুজোয় সবাই ঠাকুর দেখতে বেরোয়। আমিও বেরোই। নতুন জামা-জুতো পরে। কিন্তু সবাই যখন মা দুর্গা আর বাহারি প্যান্ডেল দেখতে বেরোয়, আমি তখন বেরোই গণেশ ঠাকুরকে দেখতে। এক-একটা মণ্ডপে গণেশের আয়েস ভঙ্গি যেন এক-একরকম।


গণেশ ঠাকুরকে দেখলেই প্রথমে আমার মনে হয়, এত বিশাল ভুঁড়ি, এত বড় একটা শুঁড় নিয়ে পড়াশোনাটা কীভাবে করে? আর এতবড় শরীরটা যার, তার কি না ওইটুকু এক খুদে বাহন! বাড়িতেও আমার বেশ কয়েকটা গণেশ ঠাকুর রয়েছে। কোনওটা ছোট্ট মূর্তি তো কোনওটা কাঠের উপর। পাড়ায় প্রতিমা গড়া শুরু হতেই রোজ দেখতাম গণেশ ঠাকুরের ভুঁড়িটা আজ কত বড় হল? শুঁড়টা কি হয়ে গেল?


প্রতিবার পুজোয় আমাদের বন্ধুদের একটা আঁকার এগজিবিশন হয়। এবারও হচ্ছে। আর সেজন্য আঁকতে বসে আমার প্রথমেই মনে হল একটা গণেশ ঠাকুর তৈরি করলে কেমন হয়? যেমন ভাবা তেমন কাজ। আমি আর দিসু, আমরা দুজন বন্ধু মিলে তৈরি করে ফেললাম 'গন্নু'কে। বালি দিয়ে গণেশ। শুধুই আঁকা নয়, কোলাজও।