নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৬ মার্চ, ২০১৬, দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন 'গড অব ক্রিকেট'। ভাষা আন্দোলনের দেশেই ক্রিকেট বইয়ের শ্রেষ্ঠ পাতাটা লিখছিলেন 'ক্রিকেটশ্বর'। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মীরপুরের শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, এই মাঠেই সাকিব, মোর্তাজা, তামিমদের বিরুদ্ধে ইতিহাস গড়েছিলেন স্যার সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে ১০ নম্বরের বিরাট


৯৯টি শতরানের পর ৩৩ ম্যাচের অপেক্ষা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ শতরানের বিরলতম নজির তৈর হল মাস্টার ব্লাস্টারের ব্যাট থেকে, আর সেটা হল ঢাকার শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। ১০০ কোটির স্বপ্ন-পূরণ করে সচিন অবশ্য বলেছিলেন, "এই জায়গায় পৌঁছে আমার আর অন্য কিছুই ভাবার ছিল না। আমার জন্য এই পথ কঠিন ছিল। আমি শুরুটা ভাল করলেও অনেকবারই ভাগ্যের সঙ্গ পাইনি। জীবনে কতগুলি শতরান করেছি সেটা বড় কথা নয়, এরপরও এগিয়ে যেতে হবে।" এই মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলার পর তাঁকে ক্রিকেটের ভগবানের আসন দেওয়া হয়েছে, যা শুনে লিটল মাস্টার বলেছিলেন, "আমি ভগবান নই, সচিন তেন্ডুলকর"। 


আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্বীকৃতি পেল নেপাল


উল্লেখ্য, ২০১১ সালে নাগপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কারিয়ারের ৯৯তম শতরান অর্জন করেছিলেন সচিন। এরপর ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, প্রতিটা সিরিজই কেবল অপেক্ষাতেই কেটেছে। ওভালে ৯১, কোটলায় ৭৬, ওয়াংখেড়েতে ৯৪, মেলবোর্নে ৭৩, সিডনিতে ৮০, খুব কাছে পৌঁছলেও তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি সচিন। অবশেষে মুশফিকুর রহিমের দলের বিরুদ্ধে সেই বহুপ্রতীক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছন সচিন। যদিও, এই একশো শতরানের কথা ভেবে তিনি কখনই ক্রিকেট খেলেননি।



সম্প্রতি 'দাদাগিরি'তে এসেও সচিন জানিয়েছিলেন, "১০০ শতরানের জন্য কখনও খেলিনি। ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতাই ছিল আমার স্বপ্ন।" প্রসঙ্গত ১০০ কোটির স্বপ্ন সফল করা সচিন নিজের স্বপ্ন-পূরণ করতে পেরেছিলেন ২০১১ সালে। ১৯৮৩ সালের পর ২০১১-তে দ্বিতীয়বারের জন্য বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। আর সেবারেই বিশ্বকাপের ট্রফি উঠেছিল তেন্ডুলকরের হাতে।