ওয়েব ডেস্ক: এক ইনিংসে ১৫ টি ছয়, ২১টি চার। মাত্র ৬৭ বল খেলে ১৯ বছরের ভারতীয় ক্রিকেটারের ঝুলিতে এল দ্বিশতরান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বে এমন নজির আর কারো নেই। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দুশো রানের নজির (আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে) গড়েছিলেন মুম্বইকর সচিন তেন্ডুলকর। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে টি-টোয়ন্টি মঞ্চে প্রথম দ্বিশতরানের নজির গড়লেন সচিনেরই 'বংশধর', আরও এক মুম্বইকর রুদ্র। কলেজ ক্রিকেটে তো বটেই, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে রুদ্র যে মাইলস্টোন গড়লেন তা এক কথায় অভাবনীয়, অকল্পনীয়।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোনও ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরির হঠাৎ ঘুম ভাঙা নয়! নয় কোনও জলোচ্ছ্বাসও! 'ক্রিকেটের পূর্বাভাসে' এমন তাণ্ডবের কথা কেউ কোনও দিন এর আগে বলেওনি! যা হল তা এক কথায় 'রুদ্রতাণ্ডব'। মহাপ্রলয়। যেভাবে নটরাজ শিবের রুদ্রমূর্তি বিনাশ ডেকে আনে, যেখানে শুধুই ধ্বংস আর ধ্বংস-ক্রিকেটও সাক্ষী থাকল তেমনই রুদ্রতাণ্ডবের। একদিকে বিপক্ষ দলের একের পর এক বোলিং অ্যাটাকের ওপর প্রহার, অন্যদিকে একটু একটু করে মাইলস্টোন গড়ে দেওয়া। এর থেকে নিষ্ঠুর ব্যাটিং পৃথিবী বোধহয় এর আগে কখনও দেখেনি, এমনকি শোনেওনি। ক্রিস গেইল, ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম, পোলার্ড, ফিঞ্চ, নারিন, লিনরা যেসব রেকর্ডের কথা স্বপনেও ভাবেননি তা করে দেখিয়ে দিল 'বীরু ভক্ত' (বীরেন্দ্র সেওয়াগ) এক তরুণ ক্রিকেটার। 


"ভাবতেই পারছি না। কোনও শব্দ দিয়ে এই আনন্দ প্রকাশ করতে পারব না। তবে এটা আমার মা-বাবার বিবাহবার্ষিকীর উপহার", প্রতিক্রিয়া রুদ্র ধান্দের। আবিস রিজভি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রিজভি কলেজের হয়ে ব্যাটিং করতে নেমে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম দ্বিশতরানের রেকর্ড গড়লেন রুদ্র। প্রথম ৩৯ বলে ১০০, পরের ২৬ বলেও ১০০। ৬৭ বলে ২০০ রানের সুবাদে বিপক্ষ ডালমিয়া কলেজের বিরুদ্ধে ২০ ওভারে ৩২২ রানের টার্গেট রাখে রিজভি কলেজ। রানের পাহাড়ে চড়তে গিয়ে মুখ থুবড়ে পরে ডালমিয়া কলেজ। অনায়াসেই ম্যাচ জিতে নেয় রুদ্রর দল।