নিজস্ব প্রতিবেদন: লক্ষ্য ১৮৪। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পরপর দুটো উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিজে তখন ভিভ রিচার্ডস। নামটাই যথেষ্ট। ছাপান্ন নয়, তবে ৪২ ইঞ্চি বুকের ছাতি আর চিকলেট চিবোতে চিবোতে মাঠে নামলে অনেক তাবড় তাবড় বোলারে হার্টবিট বেড়ে যায়। মদনলাল, কপিল, বিনি, যশপাল শর্মাকে ধরে ধরে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ভিভ। আর নার্সারি পয়েন্টের গ্যালারি দিকে বারবার তীর্যক দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিচ্ছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নার্সারি পয়েন্টে ফিল্ডিং করছেন সন্দীপ পাতিল। গাভাসকর ফিল্ডিং করছেন স্লিপে। সন্দেহ হয় গাভাসকরের। নার্সারি পয়েন্টের গ্যালারিতে বসে রয়েছেন গাভাসকর, কপিল দেব, মদনলালের স্ত্রীরা। বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মেরে তাঁদের দিকে তাকিয়ে নিচ্ছেন ভিভ রিচার্ডস। বুঝতে পেরে সন্দিপ পাতিল মারফত্ গাভাসকর সন্দেশ পাঠান তাঁর স্ত্রী মার্শনেলকে। খবর মিলতেই গ্যালারি ছেড়ে বেরিয়ে যান মার্শনেল। তারপরে কপিলদেব এবং মদনলালের স্ত্রীরও বেরিয়ে যান।



যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পর্যুদস্ত করে বিশ্বকাপ হাতে তুলে নিচ্ছিলেন অধিনায়ক কপিল দেব, তখন মাঠে দেখা যায় কপিল ও মদনলালের স্ত্রীকে। কিন্তু আর মাঠে আসেননি গাভসকরের স্ত্রী মার্শনেল। এ নিয়ে বহু লেখালেখি হয়। ভিভ রিচার্ডসের বিরুদ্ধে সমালোচনাও হয়। কিন্তু ভিভের এই যে আচরণের যে একটা উদ্দেশ্য ছিল, তা পরবর্তীকালে ঘনিষ্ঠমহলে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন খোদ সুনীল গাভাসকরই।



ক্রিকেটে স্লেজিং দেখা যায়। কিন্তু লর্ডসের মতো মাঠে দাঁড়িয়ে ক্রিকেটারদের স্ত্রীর উদ্দেশে এমন স্লেজিং হয়ত প্রথম ভিভ রিচার্ডসকেই করতে দেখা গেছে। ক্রিকেটবিশ্বে ভিভ রিচার্ডসের মতোই সুনীল গাভাসকরও একটি নাম। মাঠে তাঁকে ‘অপমান’ করতে ভিভের কাছে হয়ত এত ভালো সুযোগ আর ছিল না। গাভাসকরের কথায়, গ্যালারির ফেন্সিং খুব একটা বড় ছিল না। মার্শনেলকে গাভাসকরের স্ত্রী হিসাবে অনেকেই চেনেন। ভিভ যেভাবে খেলছে হারাটা সময়ের অপেক্ষা। খেলার শেষে যদি ইংল্যান্ডের হুলিগানের মুখে পড়েন তাঁর স্ত্রী, সেই আশঙ্কা করেই হোটেলে চলে যেতে বলেছিলাম। ভিভের সেই স্লেজিংয়ের বিরুদ্ধে সেদিনই হয়তো ষোলোআনা জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন গাভাসকররা। কিন্তু শুধু তীর্যক চাহনি দিয়ে এমন অভিনব স্লেজিংও যে মাঠে দাঁড়িয়ে করা যায়, তা ভিভই হয়তো প্রথম দেখালেন।