নিজস্ব প্রতিবেদন: ট্রেন্ট ব্রিজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পর বিরল সম্মানে সম্মানিত হলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ভারতের এই তারকা অলরাউন্ডারকে  সম্মানিত করল নটিংহ্যামশায়ার ক্রিকেট বোর্ড। যার ফলে ব্রিটিশ দেশের সম্মানীয়দের সরণিতে হার্দিক এখন হয়ে উঠলেন একটা মাইলফলক।  সৌজন্যে ট্রেন্ট ব্রিজে বলে-ব্যাটে হার্দিকের অনবদ্য পারফরম্যান্স। তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৬ ওভার বল করে ৫ উইকেট দখল করেছিলেন এই ব্যাটসম্যান অলরাউন্ডার। আর হার্দিকের এই পারফম্যান্সই জায়গা করে নিল ট্রেন্ট ব্রিজের সম্মনীয় বোর্ডে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ট্রেন্ট ব্রিজে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করবেন তো বেয়ারস্টো?


এর আগে ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে এই ট্রেন্ট ব্রিজেই এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে নামফলকে নাম তুলেছিলেন ভারতীয় স্পিডস্টার ভুবনেশ্বর কুমার। এবার সেই তালিকায় নাম লেখা হল ভারতীয় তারকা হার্দিক পান্ডিয়ার। উল্লেখ্য, এই সম্মানীয় নামফলকে নাম রয়েছে বর্তনাম বিশ্বের সেরা সুইং বোলার জেমস অ্যান্ডারসনের। ট্রেন্ট ব্রিজের সম্মানীয় নামফলকে নাম আছে স্টুয়ার্ট ব্রড, বেন স্টোকসেরও। অ্যাসেজে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এই তালিকায় নাম নথিভুক্ত করেছিলেন অজি স্পিডস্টার মিচেল স্টার্কও। 



জীবনে প্রথমবার এমন সম্মানে সম্মানিত হওয়ার পর বেজায় খুশি হার্দিকও। তিনি বলছেন, “এটা আমার কাছে একটা গর্বের মুহূর্ত। সবার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। অনেক ভালবাসা”।



প্রসঙ্গত, ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্ট শুরুর আগেও হার্দিকের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। হার্দিকের সঙ্গে কপিল দেবের তুলনা শুনে তো তেলেবেগুনে রেগে গিয়েছিলেন সুনীল গাভস্কর। লর্ডসে লজ্জাজলক হারের পর হরভজন সিং তো বলেই দিলেন, “হার্দিক নামের আগে অলরাউন্ডার শব্দটা তুলে নেওয়া হোক”। তবে এখানে তাঁদের কোনও দোষ নেই, কারণ পরপর দুই টেস্টেই পান্ডিয়া এমন কোনও পারফরম্যান্স করেননি, যার কারণে তাঁর গুণগান করতে হবে। উল্টে প্রয়োজনের সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং করে দলকে ডুবিয়েছেন। বোলিংয়েও তাঁর পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত সাধারণ। এরপরও তৃতীয় টেস্টে তাঁকে দলে রাখায় সমালোচিত হয়েছেন অধিনায়ক বিরাটও।



তবে অধিনায়কের বিশ্বাসের দাম দিয়েছেন তিনি। বিরাট সবসময়ই কেন তাঁর খুঁটি হয়ে দাঁড়ান তার প্রমাণ রাখলেন হার্দিক। এক স্পেলেই ৫ উইকেট আর ব্যাটে ঝড়ের গতিতে অর্ধশতরান (৫২), সব মিলিয়ে বিরোটোচিত ট্রেন্ট ব্রিজে হার্দিকও জ্বলজ্বল করছেন। এই টেস্টে বিরাটের নামের পাশে যেমন রয়েছে ২০০ রান (৯৭ ও ১০৩) তেমনই হার্দিকের নামের পাশে রয়েছে ৭০ রান এবং ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাঁর কাছে সুযোগ থাকছে উইকেট শিকারের। আর সেটা তিনি করতে পারলে এই টেস্টে কেবল নামফলকই নয়, তিনি দাবিদার হবেন ম্যান অব দ্য ম্যাচে হওয়ারও।