এফসি নাসাফ: ৬ (প্রীতম-আত্মঘাতী, খুসেইন নরচায়েভ ৩, বোজোরভ, নাজরুলায়েভ)
এটিকে মোহনবাগান: ০ 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজস্ব প্রতিবেদন: ইতিহাস গড়তেই পারত এটিকে মোহন বাগান (ATK Mohun Bagan)। মেগা ম্যাচের আগে উত্তেজনায় ফুটছিলেন রয় কৃষ্ণা-(Roy Krishna)। সতর্ক থাকলেও জেতার জন্য মাঠে দল নামিয়েছিলেন হেড কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। তবে 
এএফসি কাপের এফসি নসফের (FC Nasaf) বিরুদ্ধে ইন্টার জোনাল সেমি ফাইনালে হাফ ডজন গোল খেয়ে এবারের মতো প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিল সবুজ-মেরুন। হাবাসের দলের দুর্বল ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে হ্যাটট্রিক করে নজর কাড়লেন খুসেইন নরচায়েভ (Khusayin Norchaev)। ভারতে কোচিং করাতে আসার পর নরচায়েভই প্রথম ফুটবলার যিনি হাবাসের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করলেন। 


একেবারে ছন্নছাড়া ডিফেন্স। হাবাসের পরিকল্পনাহীন ফুটবল। সঙ্গে যোগ হল সন্দেশ ঝিঙ্গন, তিরি-দের অনুপস্থিতি। প্রথমার্ধেই পাঁচ গোল হজম করে খেলা থেকে হারিয়ে গেল এটিকে মোহনবাগান। চার মিনিটে প্রীতম কোটালের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে সবুজ মেরুন। সেই শুরু। এরপর বাকি ম্যাচে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি হাবাসের ফুটবলাররা। প্রথমেই গোল পেয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে এফসি নসফ। ১৮ মিনিটে খুসেইন নরচায়েভের পা থেকে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় নসফ। বাঁ-দিক থেকে দুরন্ত আক্রমণে এটিকে মোহনবাগানেই ডিফেন্সকে ছিন্ন করে ক্রস বাড়ানোর বদলে নিজেই ক্রস রিসিভ করে গোল করলেন নরচায়েভ। রক্তের স্বাদ পেয়ে তখন নরচায়েভে যেন ফুটছেন! এরপর ২১ ও ৩১ মিনিটে আরও দুটি গোল করে হ্যাটট্রিক করে ফেললেন উজবেকিস্তানের মাত্র ১৯ বছরের এই স্ট্রাইকার। 


এদিন বাঁদিক থেকেই লাগাতার আক্রমণ করছিলেন নরচায়েভ। তাঁর আক্রমণের কোনও জবাব প্রীতম-আশুতোষ মেহতাদের ছিল না। ফলে ২১ মিনিটে ম্যাচের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোল করলেন নরচায়েভ। বল ক্লিয়ার করার সুযোগ পেয়েও প্রীতম কোটালরা গোল থেকে বেশি দূরে বল পাঠাতে পারেননি। ফলে সুযোগ হাতছাড়া না করে গোল করে দলের ব্যবধান বাড়িয়ে দেন নরচায়েভ। নসফের চতুর্থ গোলেও সবুজ-মেরুন ডিফেন্সের দুর্বলতা ফের ধরা পড়ল। সেই সুযোগ নিয়ে ৩১ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলেন নরচায়েভ। এরপর প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে নিজের ভুল শুধরে বল জালে জড়িয়ে দেন বোজোরভ। কারণ ৪২ মিনিটে আবুদুরাকিমভকে ফাউল করায় নাসাফ পেনাল্টি পেলেও শট বারে মারেন বোজোরভ। সেটা না হলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। 


আরও পড়ুন: WT20: রশিদ খানদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সংশয়! কিন্তু কেন?


প্রথমার্ধে মাঝমাঠে একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি শেখ সাহিল। ফলে মাঝমাঠের সমস্যা মেটানোর জন্য সাহিলের জায়গায় লিস্টন কোলাসোকে নামান হাবাস। মাঝমাঠে বল দখলে রেখে ম্যাচের ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা হাবাসের। ৬৯ মিনিটে মানবীর সিংহের বদলে মাঠে নামেন মাইকেল সুসাইরাজ। তবে এতে লাভ হল না। খেলার ৭১ মিনিটে সবুজ-মেরুনকে হাফ ডজন গোল উপহার দেয় এফসি নসফ। ষষ্ঠ গোলের ক্ষেত্রেও রক্ষণের ভুলে চোখে পড়ল। মাপা পাস থেকে গোল করলেন পরিবর্ত হিসাবে নামা নাজরুলায়েভ। হাবাসের দল অবশ্য অফ সাইডের আবেদন করেছিল। তবে রেফারি সেই আবেদন নাকচ করে দেয়। 


এফসি নসফের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফুটবল দলের রেকর্ড মোটেও ভাল নই। ১০ বছর আগে এই নসফের কাছে ০-৯ গোলে হেরেছিল ডেম্পো। আর এবার ০-৬ গোলে হজম করে মাঠ ছাড়ল এটিকে মোহনবাগান। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)