নিজস্ব প্রতিবেদন : আফগানিস্তানের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব বলেছিলেন, তাঁরা অন্তত একটা ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করতে চান। অনেক আশা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল আফগানিস্তান। সমর্থকরাও অনেক আশা করেছিল তাদের উপর। রশিদ খান, মহম্মদ শাহজাদরা বড় দলকে চমকে দেবে বলে আন্দাজ করেছিলেন অনেকে। এমনকী, রশিদ খান নিজেও সে কথাই বলেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ প্রত্যাশামতো কিছুই হল না। আফগানিস্তান দেশে ফিরছে বিশ্বকাপে একটাও ম্যাচ না জিতে। এর থেকে হতাশাজনক আর কী হতে পারে! যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছিল ক্রিকেট। এগারোজন ক্রিকেট-যোদ্ধার লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন আফগানরা। সেই স্বপ্ন অন্য উচ্চতায় পৌঁছত যদি রশিদরা অন্তত একটা ম্যাচ জিততে পারতেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেই অবসর নিচ্ছেন মাশরাফি মোর্তাজা!



হেডিংলেতে শেষ ম্যাচে আফগানদের বিরুদ্ধে ৩১১ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আফগানরা শেষ ম্যাচ হেরেছে ২৩ রানে। যদিও বিশ্ব ক্রিকেটে আফগানিস্তানকে এখনও সম্ভাবনাময় বলে ধরছেন অনেকে। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মহম্মদ শাহজাদ চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ার পর থেকে বিতর্কের আবহ তৈরি হয়েছিল। শাহজাদ পরে ভিডিয়ো বার্তায় বলেছিলেন, তাঁর চোট গুরুতর ছিল না। আফগান বোর্ড ইচ্ছে করেই তাঁকে বাদ দিয়েছে। তাঁর জায়গায় দলে এসেছিলেন মাত্র ১৮ বছর বয়সী ইকরাম আলি খিল। কমবয়সী এই কিপার-ব্যাটসম্যানের উপর ভরসা রেখেছিল আফগান বোর্ড। ভরসার মান রাখলেন ইকরাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৮৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন। দল জিতল না। তাঁর লড়াই মাঠে মারা গেল। তবে তাঁর এই ইনিংস নিশ্চয়ই ক্রিকেটের রেকর্ড বুকে লেখা থাকবে। কারণ, এই ৮৬ রানের ইনিংসের জন্য তিনি সচিন তেন্ডুলকরের ২৭ বছরের পুরনো বিশ্বকাপ রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।


আরও পড়ুন-  আফগানদের হারিয়ে শেষ ম্যাচে জয়, ভাংরা নেচে বিদায় নিলেন ট্র্যাজিক নায়ক গেইল


সব থেকে কমবয়সী হিসাবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল সচিনের। এবার সেই রেকর্ড ইকরাম নিজের নামে করে নিলেন। ১৯৯২ বিশ্বকাপে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮ বছর ৩২৩ দিন বয়সে ৮৪ রান করেছিলেন সচিন। ওই বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৮ বছর ৩১৮ দিন বয়সে সচিন ৮১ রানও করেছিলেন। এবার ১৮ বছর ২৭৮ দিন বয়সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৮৬ রান করলেন।