নিজস্ব প্রতিবেদন : এশিয়া কাপ থেকে অস্ট্রেলিয়া সফর। চার নম্বরে নেমে একটি সেঞ্চুরি ও চারটি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এর পর অস্ট্রেলিয়া সফরে মাত্র দুটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার পর আবার নিউজিল্যান্ড সফরে তিনি পাঁচ ইনিংসে করলেন ১৯০। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজে ভাল পারফর্ম করতে পারেননি। যার জেরে তাঁর আগের সব পারফরম্যান্সে জল পড়ে গেল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তিনবার সুযোগ পেয়েছিলেন অম্বাতি রায়াড়ু। তাতে আহামরি পারফরম্যান্স করতে পারেননি। নির্বাচকরা সেই সিরিজকেই মাপকাঠি হিসাবে ধরলেন। এবং বিশ্বকাপের দল থেকে রায়াড়ুকে ছেঁচেট ফেললেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জনের গালভর্তি দাড়ি, কেন? প্রশ্ন ঋষি কাপুরের



প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে তিনি অবসর নিয়েছেন। উদ্দেশ্য ছিল, সাদা বলের ক্রিকেটে আরও বেশি করে মনোযোগ দেবেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই বড়সড় ধাক্কা খেলেন তিনি। জাতীয় নির্বাচকরা তাঁকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখেননি। ৫৫টি একদিনের ম্যাচে ৪৭.০৫ গড় রাখা রায়াড়ুর স্কোয়াডে না থাকা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। বলেছিলেন, ২০০৭ সালে একই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলা আমিও। বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ায়া যন্ত্রণার। সেটা আমি জানি। ৩৩ বছরের রায়াড়ুর একদিনের ক্রিকেটে গড় প্রায় ৪৮। তাঁর বাদ পড়াটা দুর্ভাগ্যজনক। ওর বাদ পড়াটা অবাক করল।



কেন রায়াড়ুকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ। বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আমরা চার নম্বর পজিশনে বেশ কয়েকজনকে ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়েছি। বিজয়কে আমাদের থ্রি ডায়মেনশন (থ্রিডি) ক্রিকেটার বলে মনে হয়েছে। বিজয় ভাল ব্যাট করে। বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও ওকে প্রয়োজনমতো ব্যবহার করা যায়। ওকে আমরা চার নম্বরে খেলানোর কথা ভেবেছি। প্রসদের এমন কথার এবার পাল্টা দিলেন রায়াড়ু। তিনি টুইটে মজা করে লিখলেন, বিশ্বকাপ দেখব বলে নতুন এক সেট থ্রি-ডি চশমার অর্ডার দিয়েছি। রায়াড়ুর এমন টুইটের পর নেট-দুনিয়া তোলপাড়।