জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাতদিন আগে বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপ নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যাহত। গত রবিবার লুসেল স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের ফয়সলা হয়েছিল পেনাল্টিতে। সেখানে আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে শেষ হাসি হেসেছে। ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিওনেল মেসির (Lionel Messi) নীল-সাদা সেনাবাহিনী। এই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ৪১ বছরের পোল্যান্ডের রেফারি সাইমন মারচিনিয়াক (Szymon Marciniak)। তাঁর বিরুদ্ধে ফরাসি সমর্থকদের একরাশ অভিযোগ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক কোন কোন ইস্যুতে বিতর্ক: ম্যাচের ২৩ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি দিয়েছিলেন মারচিনিয়াক। মেসি গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। অনেকেই মনে করছেন, ওসমান দেম্বেলে তখন ডি মারিয়াকে ফাউল করেননি। অন্যদিকে ৩৬ মিনিটে ডি মারিয়ার দ্বিতীয় গোলের ঠিক আগে, ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপেকে ফাউল করা হয়েছিল। তা রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। প্রথমসারির ফরাসি পত্রিকা এল'ইকুয়িপ আবার প্রশ্ন তুলেছে ম্যাচের ১০৮ মিনিটে মেসির গোলটি নিয়ে। তাদের বক্তব্য, গোলের সময়ে মাঠে আরও একজন অতিরিক্ত ব্যক্তি ছিল। তাদের মতে অতিরিক্ত ব্যক্তির উপস্থিতির জন্য রেফারির সঙ্গে সঙ্গে সেই গোল বাতিল করা উচিত ছিল। বিকল্ল খেলোয়াড় হোক বা মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়া খেলোয়াড়ও যদি থেকে থাকে, তাহলে খেলা ডিরেক্ট ফ্রি-কিক দিয়েই শুরু করা উচিত ছিল। যেখানে অতিরিক্ত ব্যক্তি উপস্থিত ছিল। এখানেই শেষ নয়, প্রায় দু'লক্ষ ফরাসি সই করে পিটিশন জমা দিয়েছেন পুণরায় ফাইনাল ম্যাচ করার জন্য়। অনলাইন পিটিশন প্ল্যাটফর্ম ‘মেসওপিনিয়নস’-এ এই পিটিশন জমা করা হয়েছে। কেন ফের ফাইনাল চাইছে ফ্রান্স, সেই মর্মে এসবই লেখা হয়েছে। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে যে, মারচিনিয়াককে আর্জেন্টিনা কিনে নিয়েছে! 



আরও পড়ুন: Tite | Brazil: ছিনতাইবাজের হাতে সর্বস্ব খোয়ালেন তিতে! দেশকে কাপ জেতাতে পারেননি তাই...


মারচিনিয়াক দেশে ফিরে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। এবার তিনি ফরাসিদের একহাত নিয়েছেন। তিনি নিজের মোবাইল বার করে একটি ছবি দেখান সাংবাদিক বৈঠকে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, এমবাপের গোলের সময় মাঠে ছিল সাতজন। মারচিনিয়াক বলছেন, 'ফরাসিরা এই ছবিটির কথা তো বলছে না। এমবাপের যখন গোল করেছিল, তখন সাতজন ফরাসি ছিল পিচে। এটা নিয়েও তো কথা বলা উচিত।' ভুলের প্রসঙ্গে মারচিনিয়াকের সংযোজন, মার্কোস অ্যাকিউনার আক্রমণের পরেও আমি ফরাসিদের পাল্টা আক্রমণে বাঁধা দিয়েছিলাম। আমি ভয় পেয়েছিলাম যে, ফাউল করা প্লেয়ারকে শান্ত করতে চেয়েছিলাম। আমি ভুল বুঝেছিলাম। কারণ কিছুই হয়নি। এই অ্যাডভান্টেজ দেওয়াই যায়। এরপর কার্ড দেখিয়ে চলে আসা যায়। এটা কঠিন হয়ে যেত ওরকম একটি ম্যাচে। এরকম ভুল আমি অন্ধকারেই রেখে দেব। তবে সব চেয়ে বড় ব্যাপার কোনও বড় ভুল হয়নি।' রেফারি বুঝিয়েই দিলেন যে, তিনি কোনও ভুলই করেননি।



 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)