নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতার রাস্তা। কলকাতার ফুচকা। কলকাতার মিষ্টি। কলকাতার আকাশবাণী। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। আর......। কলকাতার মোহনবাগান। কলকাতার কয়েকশো স্মৃতি। কলকাতার কয়েক হাজার টুকরো টুকরো পুরনো ছবি। এখনও তাঁর মনে পড়ে সেসব? কলকাতার কথা উঠলে এখনও নিজেকে বহু বছর পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। কলকাতার কারও সঙ্গে দেখা হলে আড্ডা জমে ওঠে বাঙালিয়ানায়। মোহন-ইস্টের যুদ্ধ তাতে আলাদা স্বাদ জোগায়। টক-ঝাল-মিষ্টি স্মৃতি গিরে কলকাতা তাঁকে নস্টালজিক করে তোলে। এই বয়সেও। অমিতাভ বচ্চনের জীবনের একটা অধ্যায় এখনও কলকাতার দখলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  বিনা চিকিত্সায় শয্যাশায়ী বাংলাদেশী ক্রিকেটার চামেলিকে আনা হল ভারতে


আইএফএ শিল্ডের শতবর্ষে কলকাতায় এসেছিলেন বিগ বি। তখনই বলেছিলেন, প্রথবার যখন বাবার সঙ্গে কলকাতায় পা রাখলাম তখন হাওড়া স্টেডিয়ামে মোহনবাগানের ম্যাচ চলছিল। ওই প্রথমবার বাবার সঙ্গে মাঠে গিয়েছিলাম। সে কী উন্মাদনা। কলকাতায় ফুটবল ম্যাচ মানে তো আলাদা একটা আবেগ। সেই ২০১১ সালে বলা কথাগুলো সময় যেন তাঁর মুখ দিয়ে আরও একবার বলিয়ে নিল। ২০১৮-তে কৌন বনেগা ক্রোড়পতির এক এপিসোডে অমিতাভ বচ্চন ঘুরে এলেন পুরনো দিনে। যখন তিনি কলকাতায় চাকরিরত। যখন কলকাতায় মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ শুধু ম্যাচে আটকে থাকত না। জড়িয়ে পড়ত নাড়ি, শরীর, হৃদয়ে। এক ঝটকায় যেন সেসব বিগ বি-র চোখের সামনে ভেসে উঠল চলচ্ছবির মতো। 


আরও পড়ুন-  ''বৃষ্টির মধ্যে খেলব না'', আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কাতর্কি কোহলির


প্রশ্ন ছিল, এর মধ্যে কোন ক্লাবটা কলকাতার বাইরের। অপশন ছিল, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ডেম্পো ও মহামেডান স্পোর্টিং। প্রতিযোগী ফুটবলপ্রেমী। ফলে তাঁর উত্তর জানাতে সেকেন্ডেরও কম ভগ্নাংশ সময় লাগল। জানিয়ে দিলেন, উত্তরটা ডেম্পো। তার পরই সরস কথোপকথনে মাতলেন শাহেনশা। প্রতিযোগীর কাছে জানতে চাইলেন, আপনি কোন দলের সমর্থক? ''ইস্টবেঙ্গল।'' জানালেন প্রতিযোগী। তার পরই অমিতাভ সগর্বে বললেন, ''আমি মোহনবাগানের সমর্থক।'' কলকাতায় ইস্ট-মোহন লড়াই নিয়ে উন্মাদনা কেমন আর তিনি তা সম্পর্কে কতটা অবগত, সেটাও জানিয়ে রাখতে ভুললেন না অমিতাভ বচ্চন। এর আগেও অবশ্য কলকাতায় এসে মোহনবাগানের প্রতি নিজের প্রেম জাহির করেছিলেন বিগ বি। বলেছিলেন, ''কলকাতায় আছি মানে তো মোহনবাগানকেই সমর্থন করব। এটা তো অটোমেটিক চয়েস।''